'ধোনি তো কখনই...'! ফের ফোড়ন গম্ভীরের, খেলার আগেই শুরু ভয়ংকর খেলা...
২৪ ঘন্টা | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি আইপিএলে (IPL 2024) এই প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছে দুই চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী- চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (Chennai Super Kings vs Kolkata Knight Riders, CSK vs KKR, IPL 2024)। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে চলছে খেলা (MA Chidambaram Stadium, Chepauk, Chennai)। হলুদ বনাম বেগুনি যুদ্ধে বরাবর দু'টি মুখ সামনে এসেছে। তাঁরা দুই দলেরই প্রাক্তন ট্রফি জয়ী অধিনায়ক এমএস ধোনি ও গৌতম গম্ভীর (MS Dhoni and Gautam Gambhir)। ধোনি এখন চেন্নাইয়ের ব্য়াটার-উইকেটকিপার। অন্য়দিকে গম্ভীর নাইটদের মেন্টর। দুয়ের মস্তিষ্কের লড়াই ফের চর্চায়। কলকাতাকে রুখে দেওয়ার লক্ষ্য়ে, মাঠে নামার আগে গম্ভীর জানিয়েছেন ধোনি এবং সিএসকে সম্পর্কে তিনি ঠিক কী ভাবেন।গম্ভীর আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্য়ানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি জিততে চেয়েছি বরাবর। মাথায় এই বিষয়টা খুবই স্বচ্ছ ছিল। বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সম্মান ও বাকি সব কিছু থেকে যাবে। কিন্তু যখন আমি মাঠে, তখন কেকেআরের ক্য়াপ্টেন। ধোনি সিএসকের অধিনায়ক। ওকে জিজ্ঞাসা করলেও ও হয়তো আপনাকে এই উত্তর দেবে। অবশ্য়ই জেতার জন্য়ই সব। এমএস ভারতের সর্বকালের সফলতম অধিনায়ক। আমি মনে করি না, ওই জায়গায় আর কেউ যেতে পারবে। তিনটি আইসিসি ট্রফি জেতা বিরাট ব্য়াপার। হ্য়াঁ, তবে আইপিএলে আমি ওর বিরুদ্ধে খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আমি জানি ওর ট্যাকটিকাল মাথা। এই ব্য়াপারে ও দুরন্ত। জানে কীভাবে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কীভাবে তাদের জন্য ফিল্ডিং সেট করতে হবে। ও কখনই হাল ছাড়ার পাত্র নয়। এমএস ছয়ে বা সাতে ব্য়াট করে। ও জানে ও যতক্ষণ ক্রিজে আছে ততক্ষণে ও ম্য়াচ বার করে দেবে। চেন্নাইয়ের যদি জেতার জন্য় শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন থাকে, তাহলেও এমএস মাঠে থেকে ম্য়াচ বার করে আনতে পারে। ঠিক একই ভাবে আমিও জানি আমার বোলাররা সুপার কিংসের যে কোনও কাউকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে। মাঠে এমএসের থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ট্য়াকটিকালি আপনাকে এগিয়ে থাকতেই হবে। ওর থেকে ভালো হতেই হবে। কারণ ও মাঠে আগ্রাসন দেখায় না। আগেই বললাম ও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। চেন্নাই এমন একটি টিম যাদের বিরুদ্ধে শেষ বল খেলা না পর্যন্ত আপনি জয়ের বিরুদ্ধে নিশ্চিত থাকতে পারবেন না।'ধোনি-গম্ভীর, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুম ভাগ করে নিয়েছেন। ধোনির অভিষেকের অনেক আগেই গম্ভীর টিমে ঢুকে পড়েছিলেন। ধোনির নেতৃত্বে বহু বছর খেলেছেন গম্ভীর। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে ও ২০১১ পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ধোনির ভারতকে কাপ জেতানোর নেপথ্যে ছিলেন বাঁ-হাতি মারকুটে ব্যাটার। দু'বারই বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরা হয়েছিলেন গম্ভীর। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়াংখেড়েতে গম্ভীর ১২২ বলে ৯৭ করেছিলেন। ধোনি ৭৯ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন। যা আজীবন থেকে যাবে ভারতীয় ক্রিকেটের সোনালি ইতিহাসে। অনকেই মনে করেন যে, গম্ভীর একদমই পছন্দ করেন না ধোনিকে! তাঁদের সম্পর্ক ভালো নয়। তবে গম্ভীর আবারও সমালোচকদের বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁর মনে ধোনির জন্য শ্রদ্ধা ঠিক কত'টা।