'আমি মনে করি, দিল্লিতে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে নির্বাচন কমিশন'!
২৪ ঘন্টা | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: দিল্লিকাণ্ডে প্রতিবাদে রাজভবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। বললেন, 'আমি মনে করি, দিনের আলোয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার মূল কারিগর নির্বাচন কমিশন'।
এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, 'দিল্লিতে যে সরকারটা রয়েছে. সে সরকারে দায় এখন নয়। পুরো ব্যবস্থটাই যে মুহুর্ত থেকে নির্বাচন ঘোষণা হয়, চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। শান্তিপূর্ণভাবে ১০ যদি বসে প্রতিবাদ জানায়, তাঁদের হাতে কি ছিল বোমা, বন্দুক, লাঠি! দোলার সেনের পায়ে অপারেশন হয়েছে ২ সপ্তাহ আগে। তাঁকে টানতে টানতে অমানবিকভাবে নিয়ে গিয়েছে। ডেরেক ও'ব্রায়নে চ্য়াংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিস। ডেরেক ও'ব্রায়নে চ্য়াংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিস'। ঘটনাটি ঠিক কী? দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিল তারা। সময় দেওয়াও হয়েছিল। কবে? আজ, সোমবার।সেইমতো বিকেল চারটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তু কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমার দেওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে ধরনায় বসে পড়েন তাঁরা। ঘোষণা করেন, ২৪ ঘণ্টা ধরে এই ধরনা চলবে। এরপরই আসরে নামে দিল্লি পুলিস। অভিযোগ, কমিশনের অফিসের সামনে থেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের। অভিষেক বলেন, 'নিশ্চিতভাবে আমরা বলতে গিয়েছিলাম, NIA ডিরেক্ট, সিবিআই ডিরেক্টর, ইডি ডিরেক্টর, ইনকাম ট্যাক্স ডিরেক্টর বদল হোক। তার সাথে আমাদের যেটা মূল দাবি ছিল, যেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভা থেকে বলেছে, যেদিন ঝড় হয়েছে, পরেরদিন রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, আমরা কেন্দ্রের থেকে টাকা চাইছি না। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি মাথার ছাদের ব্য়বস্থা করতে চায় সময় অপচয় না করে। আমাদের সেই অনুমোদনটা দেওয়া হোক। আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু না থাকলে, অনুমোদনের প্রয়োজন হত না'।তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, 'প্রায় ৮ দিন হয়ে দিয়েছে, অনুমোদন দেয়নি। কারণ যে নির্বাচন কমিশনারকে ভারত সরকার, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁরই এক সহকর্মী সেই রাজনৈতিক দলের বিজেপি নিয়োগ করেছে, তারা চায় না, গবীর মানুষ বাড়ি পাক। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বাড়ি পাক'।অভিষেক বলেন. 'আমাদের দ্বিতীয় দাবি ছিল, গতকাল আমাদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এসপি NIA ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করেছিলাম যে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ২৬ মার্চ অর্থাৎ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ১০ দিন পরে বৈঠক করেছে। গোপনে বৈঠক হয়েছে। আপনিতে অফিসে গিয়ে দেখা করবেন, সময় চেয়ে মেইল করবেন সে তথ্য কোথায়? আপনি নির্বাচন ঘোষণা হওয়া পর এসপি এনআইএ-র বাড়িতে গিয়ে... আমরা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করব। এই প্রমাণগুলি থাকার পর কেন কমিশন NIA-র ডিরেক্টর, NIA-র এসপিকে সরাবে না'?