প্রবীর চক্রবর্তী ও রাজীব চক্রবর্তী: দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনা থেকে তৃণমূল সাংসদদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান তুলে নিয়েছে পুলিস। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অবপ্যবহারে অভিযোগ তুলে আজই কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক ঝাঁক সাংসদ। কমিশনের সঙ্গে দেখা করার পর তারা কমিশনের সামনে ধরনায় বসে পড়েন। তার পরেই তাদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়। মারধরের অভিযোগ করেন শান্তনু সেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই রাজভবনে যাচ্ছেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের ১২ জনের প্রতিনিধি দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ১২ জন প্রতিনিধি। শান্তিপূর্ণ ও অবস্থান থেকে কেন পুলিস দিয়ে তৃণমূল নেতাদের তুলে দেওয়া হল তার প্রতিবাদ করবে তৃণমূল প্রতিনিধিদল। এনিয়ে তাঁরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইবেন। পাশাপাশি, এনআইএর সঙ্গে যোগসাজসে কেন তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করছে তাও জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।এদিন, দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, সাকেত গোখলেরা। তারা কমিশন থেকে ফিরে এসে বলেন, মূলত দুটি দাবি কমিশনে জানানো হয়েছে। একটি হল ভোটের ময়দানে সমান জায়গা দেওয়া হোক সবাইকে। বিজেপির জমিদারি বন্ধ হোক। দ্বিতীয়ত, চার কেন্দ্রীয় সংস্খার প্রধানকে এখনই বদল করা হোক।তৃণমূল সাংসদ ও নেতাদের বাসে তোলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ওরা কেথায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছে জানি না। প্রথমে বলল মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যাবে। এখন কোথায় নিয়ে যাবে কিছুই জানি না। বাসের মধ্যে আটকে রেখে দিয়েছে। বাসের মধ্যে আমাদের ধাক্কাধাক্কি করেছে।অন্যদিকে, সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, আমরা তৃণমূলের ১০ জন সাংসদ নির্বাচন কমিশনের সামনে শান্তিপূর্ণ ধরনায় বসেছিলাম। আমাদের দাবি ছিল সিবিআই, ইডি, এনআইএ ও আইটির প্রধানদের সরিয়ে দিতে হবে। আমাদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়। দোলা সেনের পায়ে আঘাত লেগেছে। এখন কোথায় আমাদের নিয়ে যাচ্ছে জানি না। বাসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।