Kolkata Police : শহরের স্কুলগুলিতে বোমাতঙ্কের বার্তা ভুয়ো, আশ্বাস কলকাতা পুলিশের
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
ক্লাসরুমের ভেতর বোমা রাখা আছে। এরকম একটি ই-মেইল এসেছিল কলকাতার একাধিক স্কুলে। যা নিয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় সোমবার। তবে, সেগুলি আদতে ভুয়ো মেইল ছিল, বোমাতঙ্কের কোনও বিষয় নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ওই ভুয়ো মেইল পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশের তরফে।কলকাতা পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আমাদের নজরে এসেছে যে শহরের বেশ কিছু স্কুলে বোমার উপস্থিতির হুমকি দিয়ে একটি ই-মেইল এসেছিল। আমরা শহরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই ইমেলটি একটি ভুয়ো মেইল। কোনও স্কুলের জন্যেই বিশ্বাসযোগ্য হুমকি নেই।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের মতো শহরের স্কুলগুলিতে একই মেইল পাঠানো হয়েছিল। এ ধরনের প্র্যাঙ্ক মেইল প্রেরকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, 'দয়া করে শান্ত থাকুন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত থাকুন। এরই মধ্যে আমরা সবাইকে গুজব ছড়ানো বা আতঙ্কিত হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। স্কুলের যে কোনও সাহায্যের জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'
সোমবার সকালে কলকাতার একাধিক স্কুলে ওই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছিল। শহরের একাধিক স্কুলের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সন্ধান। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাও বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। মেইলের মধ্যে ছিল দুটি নাম- ডল ও চ্যাং। রাত বারোটার পর থেকেই একাধিক স্কুলের নিজস্ব আইডিতে মেইল পাঠানো শুরু হয়। মেইলের মধ্যে লেখা হয়, ‘ক্লাসরুমগুলিতে বোম রাখা হয়েছে। এক নিমেষের বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। যখন সবাই স্কুলে থাকবে, তখনই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে।’ এরকমই একটি হুমকি পাঠানো হয়।
এরপরেই তড়িঘড়ি পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়। কোনও নির্দিষ্ট মেইল আইডি থেকে ওই হুমকি পাঠানো হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হয়। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে স্কুলগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে এরকম কোনও বোমা পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে স্কুলগুলিতে কেন এরকম মেইল পাঠানো হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুল, অভিনব ভারতী স্কুল সহ একাধিক নামীদামী স্কুলে এই মেইল পাঠানো হয়েছিল। প্রত্যেক স্কুলকেই আশ্বস্ত করা হয়েছে পুলিশের তরফে।