Solar Eclipse: ৪ মিনিটের বিস্ময়! দিনেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে আকাশে 'রিং অফ ফায়ার', দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
দিনের বেলায় নেমে এল ঘুটঘুটে অন্ধকার। সোমবার ৮ এপ্রিল এক বিস্ময়কর সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী। সোমবার তিন দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা মিলল এই বিস্ময়কর সূর্যগ্রহণের। এই সূর্যগ্রহণকে 'গ্রেট নর্থ আমেরিকান এক্লিপসও বলা হচ্ছে।প্রথম আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখায় মেক্সিসোর পশ্চিম উপকূল থেকে। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে দেখা যায় এই সূর্যগ্রহণ। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর মেক্সিকোর উপকূলয়ী শহর মাজাটলান থেকে দেখা যায় এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই সময়ও দিনের বেলায় কিছুক্ষণের জন্য আঁধার নেমে আসে সেখানে। মেক্সিকোর পর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে দেখা যায় সূর্যগ্রহণ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য় অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জায়গা থেকে দেখা যায় সূর্যগ্রহণ। তবে সেখানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা থেকেও দেখা যায় সূর্যগ্রহণ। এর আগে কানাডায় এরকম সূর্যগ্রহণ দেখা গিেছিল ১৯৭৯ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি। মেক্সিকোতে ১৯৯১ সালের ১১ জুলাই ও যুক্তরাষ্ট্রের শেষ এই রকম সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট।
তবে ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না সেই খবর আগেই মিলেছিল। তবে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এটা কোনও সমস্যাই নয়। স্বচক্ষে না হলেও ভার্চুয়ালি বিশ্বের সকল প্রান্তের বাসিন্দারাই এই সূর্যগ্রহণের স্বাক্ষী থাকলেন।
আপনি এখনও সূর্যগ্রহণ দেখেননি? দেখে নিন ভিডিয়ো
আগামী ২০ বছরে এই ধরনের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের দেখা নাও মিলতে পারে। মহাজাগতিক ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল এই সূর্যগ্রহণ। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ যখন অবস্থান করে তখন ঘটে সূর্যগ্রহণ। সেই মুহূর্তে চাঁদের ছায়া পড়ে সূর্যের উপর। কখনও চাঁদ প্রায় পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে দেয় কখনও আবার আংশিক ভাবে চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায় সূর্যের আলো। চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিলে হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। তখন পৃথিবীর উপর ছায়া পড়ে। পৃথিবীর যে অংশে ওই ছায়া অঞ্চল তৈরি হয় সেখানকার বাসিন্দারা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকতে পারেন। এক এক জায়গায় এক এক রকম ভাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
NASA থেকে লাইভ লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি দেখানো হয় এই সূর্যগ্রহণ। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে নিয়ে উত্তর আমেরিকার নিউফাউন্ডল্যান্ড, ডালাস, ফিলাডেলফিয়া সহ একাধিক শহরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তৈরি ছিলেন বিজ্ঞানীরাও। এদিন রেকর্ড করা হয় নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।