চৈত্রের জ্বালাপোড়া গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত সমতলের তখন সিকিমের ঘুম ভাঙল ভারী তুষারপাতে। ৯ এপ্রিল, ভোরে হোটেলের জানলা খুলতেই সাদা বরফে ঢাকা রাস্তাঘাট নজরে পড়ল পর্যটকদের। এই মুহূর্তে যারা সিকিম বেড়াতে গিয়েছেন, তাঁদের পোয়াবারো।সিকিমে তুষারপাতসোমবার থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের অধিকাংশ এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে বরফে ঢাকা পড়েছে ছাঙ্গু লেক। সাইট সিইংয়ে বেরিয়ে বরফে ঢাকা ছাঙ্গু লেক দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। এ ছাড়াও পূর্ব সিকিমের নাথু লাতেও রাস্তায় বরফ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। গত ৬ এপ্রিল থেকেই তুষারপাত হচ্ছে নাথু লায়।
জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন তুষারপাত হবে পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু, রুমটেক, তাশি ভিউ পয়েন্টের মধ্যে ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে। এ ছাড়াও গুরুদংমার লেক, জিরো পয়েন্ট, ইয়ুমথাংয়ের মতো উত্তর সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলিও বরফে ঢাকবে।
Sikkim Snowfall : সিকিমে তুষারপাত
এবার শীতের মরশুমেও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভব করেছে সিকিমবাসী। সাধারণ মানুষের পাশপাশি সিকিমে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। আবার গরমের ছুটি কাটাতে, মার্চ-এপ্রিলের তীব্র গরম এড়াতে যারা সিকিম বেড়াতে গিয়েছে, তারাও এই মুহূর্তে চুটিয়ে তুষারপাত উপভোগ করছেন। সিকিমের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শীতলতম শহর হিসেবে পরিচিত লাচেন এবং থাঙ্গুর তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে গুরুদোংমার লেক, ছাঙ্গু লেক, জিরো পয়েন্ট, ইয়ুমথাং ভ্যালি এবং জুলুকের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলিতেও আগামী কয়েকদিন তুষারপাত চলবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
তুষারপাতের মাঝেই চ্যালেঞ্জতবে তুষারপাত সিকিমের মুগ্ধতা বাড়ালেও, চ্যালেঞ্জও কম নয়। প্রবল তুষারপাতের জেরে অনেক সময় সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। পর্যটকদের গাড়ি আটকে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। মাঝে মধ্যেই ধস নেমে ব্যাহত হয় পর্যটন। ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ফেব্রুয়ারির পর থেকে অগাস্ট পর্যন্ত সিকিমে বেড়াতে না যাওয়াই মঙ্গল। না হলে খারাপ আবহাওয়ায় ঝুঁকি থেকেই যায়।
লাচুং, লাচেন, নাথু লা, ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দিরে সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। প্রত্যেকটি ট্যুরিস্ট স্পটে যাওয়ার ক্ষেত্রেই পারমিটের প্রয়োজন পড়ে। নাথু লার পারমিট ইস্যু করে পর্যটন দফতর। এ ক্ষেত্রেও রেজিস্টার্ড ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আবেদন করা হলে তবেই পাস ইস্যু করে পুলিশ চেক পোস্ট। গুরদংমার লেকে বেড়ানোর জন্য পুলিশ চেক পোস্ট থেকেই পারমিট পাবেন ভারতীয় পর্যটকরা। থাংগুর পর্যটন বিভাগের পারমিট সেল থেকে পাস পাবেন বিদেশিরা।