ফের উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গেল ভূপতিনগর থানার ওসিকে। সেই বচসায় ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই উঠে এসেছ সংবাদমাধ্যমের হাতে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।ঠিক কী ঘটেছে?পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবাস জানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয় আদালত। অভিযুক্তকে পাকড়াও করার জন্য ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক সুভাষ জানা নামে ওই ব্যক্তি পিছনে ধাওয়া করেন। এদিকে পুলিশকে দেখে ওই ব্যক্তি তিনি এসে ভূপতিনগরে বিধায়ক কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। পিছনে ভূপতিনগর থানার ওসিও তাঁকে ধাওয়া করতে করতে বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে যান। তারপরেই ভূপতিনগর থানার ওসির সঙ্গে ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির তুমুল বচসার শুরু হয়। এমনকী বিধায়কের কার্যলয়ের বাইরে চলে সেই বচসা। ঘটনার জেরে উত্তেজনার ছড়ায় গোটা এলাকায়।
কেন শুরু বচসা?স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। ওই সময় ভূপতিনগরের ওসি গোপাল পাঠকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অর্জুননগরে বিজেপি বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি কার্যালয়েই উপস্থিত ছিলেন। আকস্মিক পুলিশকে কার্যালয়ে ঢুকে দেখে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় চত্বরে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, এক অভিযুক্তকে তাড়া করার সময় তিনি গা ঢাকা দিতে বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন। আর তাঁকে ধাওয়া করেই বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকেছে পুলিশ। এই সফার পর 'সার্চ ওয়ারেন্ট' দেখতে চান রবীন্দ্রনাথ মাইতি। আর তাতেই শুরু হয়ে যায় বচসা।
প্রসঙ্গত, এইআইএ-র তদন্ত অভিযানকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে এই এলাকা। বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসিদের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় এনআইএ আধিকারিকদের। হামলাও চালান হয় এনআইএ আধিকারিকদের উপরে। ভাঙচুর চলে গাড়িতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে। শুরু হয় শাসক - বিরোধী তরজা। বিজেপির কথায় এনআইএ অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির পক্ষ তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এমনকী এনআইএ-র এক আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গোপন বৈঠক হয়েছে বলেও দাবি করে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন জিতেন্দ্র। আর সেই ঘটনার মাঝেই ওসি-বিধায়কের এই বচসায় নতুন করে চাঞ্চল্য ফেলে দিল ভূপতিনগরে।