Calcutta High Court News : ‘অভিযুক্তদের নিয়ে রাজ্য চুপ কেন?’ SSC মামলায় মুখ্য সচিবের রিপোর্টে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
এসএসসি মামলায় মুখ্যসচিবের রিপোর্টে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইকে কনসেন্ট দেওয়া হবে কি না, সেই ব্যাপারে লোকসভা ভোটের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাতে এবার মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে হবে তাঁরা সিবিআই তদন্তে অনুমতি দেবে কি না। আদালতের প্রশ্ন, সাধারন নির্বাচন হচ্ছে বলে কাউকে গ্রেফতার করছেন না? কোনও মামলার তদন্ত হচ্ছে না? কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না? আর কোনও কাজ করছে না প্রসাশন? প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির।এসএসসি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, ‘আদালত মনে করছে মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেখানে কোনও বুদ্ধি প্রয়োগ করেনি। তিনি তার দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারেন নি।’ আদালত আশ্চর্য হয়েছে, সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই দুর্নীতির মামলায়। বিচারপতি বলেন, ‘আমরা আশা করব, প্রভাবশালী অভিযুক্তদের পদ মুখ্যসচিবকে প্রভাবিত করবে না। একজন মুখ্যসচিব স্বাধীন ও গঠনতান্ত্রিক ভাবেই তার সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিচারপতি জানান, মুখ্যসচিবকে শেষ দিনেও বলেছিলাম। আপনাদের এমনিই কোন অধিকার নেই অনুমতি দেওয়ার। আমরা সম্মান করেছিলাম মুখ্যসচিবকে। হয়তো তাঁকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেটা রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে অপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করবেন এটাই আশা করা হয়, মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির।
এভাবে কি সত্যি তদন্তকারী সংস্থাকে কোন কাজ করতে পারবে?বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি
মুখ্যসচিবের রিপোর্টে বিরক্ত হয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ‘রাজ্যের সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে। এভাবে কি সত্যি তদন্তকারী সংস্থাকে কোন কাজ করতে পারবে? এই মামলায় অভিযুক্তরা হয়ত সরকারি আধিকারিক বা মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সেই অভিযুক্তদের জন্য রাজ্য চুপ করে বসে থাকবে?’ এই মানুষগুলোর কথা ভাবুন যারা বসে আছে তদন্ত করতে এসে আপনাদের জন্য। আমরা চাই সরকারি আইনজীবী নিজের দায়িত্ব পালন করুন।
সাতটা চিঠি লেখেছে সিবিআই, তার কোন উত্তর মেলেনি। মুখ্যসচিব এদিন রিপোর্টে লেখেন, ডিপার্টমেন্টকে পাঠানো হয়েছে আদালতের নির্দেশ। সাধারণ নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হবে কি না। মুখ্যসচিবকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি ল ডিপার্টমেন্ট এ পাঠাচ্ছেন অথচ ইডির সঙ্গে কথা বলছেন না। নির্বাচন কোনও অজুহাত হতে পারে না। আগামী ২৩ এপ্রিল তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানায় আদালত।