• 'মা বলে চুমু খেলে কী সমস্যা?' খগেনের পাশে মহিলা, তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রার্থীও
    এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
  • বিজেপি প্রার্থীর ছবি ঘিরে বিতর্ক। মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। প্রচারে বেরিয়ে এক মহিলাকে চুমু খাওয়া'র অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বেশ কয়েকটি ছবি ও স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। যদিও ওই ছবি ও স্ক্রিনশটগুলির সত্যতা যাচাই করেনি এইসময় ডিজিটাল।সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তৃণমূলেরতৃণমূলের সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেলে যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলার গালে চুমু খাচ্ছেন খগেন মুর্মু। একইসঙ্গে অপর এক মহিলার পিঠে হাত রাখতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ছবিগুলির সঙ্গে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'আপনি এখনই যা দেখলেন যদি তা বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে আমাদের তা স্পষ্ট করতে দিন। হ্যাঁ তিনি বিজেপির সাংসদ এবং মালদা উত্তরে প্রার্থী। প্রচার অভিযানে নিজের ইচ্ছায় একজন মহিলাকে চুমু খাচ্ছেন। মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানকারী সাংসদ থেকে শুরু করে বাঙালি নারীদের নিয়ে অশ্লীল গান গাওয়া নেতা, বিজেপি শিবিরে নারীবিরোধী রাজনীতিবিদদের কোনও অভাব নেই। মহিলাদের সম্মানে এভাবেই ব্যস্ত মোদীর পরিবার! তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে ভাবুন।'

    সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের সিহিপুর গ্রামে। খগেনের সেই ছবিই সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সে ছবি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে। ঘটনায় জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিকৃত মানসিকতার অভিযোগ তুলেছেন খগেন। তিনি জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    কী বলছেন খগেন?খগেন বলেন, 'এটা কোনও বলার বিষয়ই নয়, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি, এগুলো করে। মা বোন সবার বাড়িতে আছে, বাচ্চাদেরকে সবাই আদরই করে। মায়েদের যদি শ্রদ্ধা সব চাইতে কেউ করে, সেটা ভারতীয় জনতা পার্টি। এইসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কী আছে? তৃণমূল নিজের সংস্কৃতি করবে। আমার নির্বাচন করি, মানুষের কাছে যাই, মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে।'

    গুরুত্ব দিচ্ছেন না মহিলাওএদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ওই মহিলাও। তিনি বলেন, 'মা বলে যদি গালে একটা চুমু খান, তাতে কী সমস্যা আছে। যারা এইসব করছে, তাদের এত নোংরা মানসিকতা কেন? তাদেরও তো বাড়িতে মেয়ে আছে। আমার একপাশে মা, আর এক পাশে বাবা দাঁড়িয়েছিল, তারা তো ছিল আমার পাশে, তারা তো সবই দেখেছেন, এটা ভাইরাল করারই বা কী হয়েছে। এতে তো খারাপ কিছু নেই!' তবে যে মহিলাকে ঘিরে এই ঘটনা, বা যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তাঁরা কেউই এই বিষয়ে গুরুত্ব না দিলেও বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে।
  • Link to this news (এই সময়)