• 'আরও বিধায়ক আসছে...,' TMC-র ধর্না-বিক্ষোভে যোগ দিল AAP-ও
    আজ তক | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
  • দল দু'টো-তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। অভিযোগ একটাই- কেন্দ্রীয় সংস্থার 'অপব্যবহার'। মঙ্গলবার দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভে যোগ দিল আম আদমি পার্টি(AAP)। বিক্ষোভস্থলে এসেছেন দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ও AAP-এক একাধিক নেতানেত্রী।
    এদিন মন্দির মার্গ থানার বাইরের ধর্নায় এসে সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, 'আমরা আপনাদের(তৃণমূলের) সঙ্গে আছি। অনেক বিধায়ক আসছেন। আপনারা একা নন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।' তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন বলেন, 'আমরা জানি, আপনারা যুদ্ধ করছেন। আমরাও লড়াই করছি।'
    কেন্দ্রীয় সংস্থার 'অপব্যবহারে'র বিরুদ্ধে দিল্লির তৃণমূল(TMC)। গত ১৮ ঘণ্টা ধরে দেশের রাজধানীতে বিক্ষোভ-ধর্নায় রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে টিএমসি। মঙ্গলবার সকালে, ফের দিল্লির মন্দির মার্গ থানার বাইরে ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা। এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বের হয়েই ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময়ে দিল্লি পুলিশ টিএমসি নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্না-আন্দোলন যে থামবে না, সেটাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টিএমসি নেতানেত্রীরা।

    TMC রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ মঙ্গলবার সকালে X-এ লেখেন, '২৪ ঘণ্টা ধরে TMC-র ধর্মঘট চলছে। গতকাল (সোমবার) বিকেল ৫টায় আমরা নির্বাচন কমিশন অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দিল্লি পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয় এবং দুর্ব্যবহার করে। পুলিশ আমাদের বাসে করে একটা অচেনা স্থানে নিয়ে যায়। এরপর মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে আসা হয়।সেখানেই রাত কাটিয়েছি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মোদী সরকার প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ, সিবিআই, আইটি এবং ইডির অপব্যবহার করছে। এর বিরুদ্ধে আজ সকাল থেকে আবারও আমাদের বিক্ষোভ অব্যাহত।'

    নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল টিএমসি প্রতিনিধি দল
    দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, ডেরেক ও'ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিধায়ক বিবেক গুপ্ত, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস। তৃণমূলের ১০ নেতার প্রতিনিধি দল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এরপরেই নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে অবস্থান ধর্মঘটে বসে।

    দিল্লি পুলিশ কী বলছে?
    দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন ওই এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৪৪ ধারা প্রযোজ্য। তাই আইনত ওখানে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবস্থান বিক্ষোভের কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। তাই তৃণমূল নেতাদের নিয়ে গিয়ে একটি বাসে বসানো হয়। দেড় ঘণ্টা যাত্রার পর তাঁদের মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
    একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানালেন, সমস্ত তৃণমূল নেতানেত্রীদেরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূর্যাস্তের আগেই মহিলা বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রাত ৯টায় পুরুষ বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
    তবে, তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা থানায় তাঁদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, থানার ভিতরে হোক বা বাইরে, দুই জায়গাতেই আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।

    'গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছে বিজেপি'
    সোমবার রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টিএমসি একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। দিল্লিতে দলের নেতাদের আটকের বিষয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।'
    সোমবার বাঁকুড়ায় এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সরকার গণতন্ত্রকে কারাগারে পরিণত করেছে।' এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, 'গোটা দেশকে জেলে পরিণত করা হয়েছে... মোদীর গ্যারান্টি মানে ৪ জুনের পর সব বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠানো হবে।'
  • Link to this news (আজ তক)