বরুণ সেনগুপ্ত: লোকসভা ভোটের সঙ্গে রাজ্যে উপনির্বাচন। বরানগরে প্রচারে বেরিয়ে বচসায় জড়ালেন বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি হল তাঁর। কেন? প্রার্থীর অবশ্য দাবি, 'তর্ক কিছু করিনি তো। কেউ আমার প্রশ্ন করেছেন, কেউ তাঁর বক্তব্য রেখেছেন, আমি তার পাল্টা বক্তব্য রেখেছি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? তাপসের রায়ের জায়গায় এবার সজল ঘোষ। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ১ জুন। হাতে মাইক। এদিন বরানগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পার্ক প্রচার করছিলেন বিজেপি প্রার্থী। স্থানীয় এক মহিলা জানান, 'আমি ওনাকে একটাই প্রশ্ন করেছিলাম যে, আমি কেন বিজেপিকে ভোট দেব? উত্তর দিতে পারেননি। আর আমি নিজস্ব মতামত থেকে বসেছিলাম, যেকারণে আমি দিদিকে ভোট দেব, এ মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ হাজার টাকা ঢুকেছে। কিছু দিন আগে আমার মেয়ে কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছে, সবুজসাথীর সাইকেল পেয়েছে। আমাদের এলাকা যত উন্নয়ন হয়েছে ১৩ বছরে, সবই তৃণমূল কংগ্রেস আসার পরে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কাকে ভোটটা দেব? সন্দেশখালির ঘটনাও তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্বের মানুষ জানে, ওটা সাজানো ঘটনা ছিল। উনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন'। সজল ঘোষের পাল্টা দাবি, 'কেউ তাঁর কথা বলেছে, আমরা আমাদের কথা বলেছি। উনি বলেছেন, দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে, আমি বলেছি. দিদি কেন জল দিচ্ছেন না? উনি বলেছেন, ৬৮টা প্রকল্প আছে, যা শেখায় আর কি! আমি বলেছি, ৬৮টার মধ্যে ৩৮টার নাম যদি তুমি বলে দিতে পার, আমাকে ভোট দিতে হবে না, এটা আমি প্রচার করব। ৩৮ টা কেন, ৮টাও বলতে পারেনি। ওই দেওয়ালে লেখা থাকে, মাস্টারস্ট্রোক! মাস্টার স্ট্রোক কী! ৫০০ থেকে হাজার! ভোট পার হয়ে যাবে। চাকরিটা দিয়ে যদি মাস্টার স্ট্রোক করত, বুঝতাম। সেটা হয়নি। আমার সঙ্গে কারও তর্ক-বিতর্ক হওয়ার অবকাশ নেই'।এদিকে বরানগর উপনির্বাচনে এবার তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন স্থানীয় সতীন সেন নগরে শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন তিনি। সায়ন্তিকা বলেন, 'বিরোধী প্রার্থী সব সময় মানুষের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরে। রাজ্যে উন্নয়ন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কোনও উন্নয়ন করেনি'। একুশের বিধানসভা ভোটে বরানগর কেন্দ্রটি গিয়েছিল তৃণমূলের দখলে। এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিল তাপস রায়। সেই তাপস রায়ই এখন বিজেপিতে। বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।