• বন্ধ করেছিল মাওবাদীরা, ২১ বছর পর খুলল ছত্তিশগড়ের রাম মন্দির
    এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
  • দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল ছত্তিশগড়ের সুকমা। সেই মাওবাদীদের দাপটকালে জোর করে সুকমার রাম মন্দিরটি বন্ধ করা হয়েছিল। এমনকি মন্দিরটি ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল মাওবাদীরা। মাও আতহ্কে তারপর আর দরজা খোলেনি রাম মন্দিরের।তারপর কেটে গেছে ২১ টা বছর। কমেছে মাও আতঙ্ক। অবশেষে রামনবমীর ঠিক আগেই দরজা খুলল ছত্তিশগড়ের সুকমার কেরলাপেন্ডা গ্রামের রাম মন্দিরের। ফের মন্দির চত্বরে ভিড় জমালেন স্থানীয় ভক্তরা। ধুলো পরিষ্কার করা হল মন্দির চত্বরের। বিগ্রহ পরিষ্কার করে ফের শুরু হল রাম লালার আরাধনা।

    ২১ বছর আগে সুকমার এই গোটা অঞ্চল ছিল মাও অধ্যুষিত। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে শুরু করে সুরক্ষিত করিডোর গড়ে যাতায়াত, মাওবাদীদের সমস্ত কার্যকলাপই হত এই মন্দির চত্বরে। ফলে বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় কেরলাপেন্ডা গ্রামের এই রাম মন্দিরটি। একটা সময় এই মন্দির ঘিরে বসত মেলা। পরে সেই মন্দিরের ধারপাশ না মাড়ানোর নির্দেশ দেয় মাওবাদীরা। ২০০৩ সাল থেকে গ্রামের কেউই ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে থেকে শুধুমাত্র একজন গ্রামবাসী প্রতিদিন মন্দিরের সামনে প্রদীপ জ্বলিয়ে রেখে যেতেন।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সলে এই গ্রাম থেকে মত্র ১০ কিলোমিার দূরে ৭৬ জন জওয়ান খুন হয়েছিলেন। এরপর ২০২১ সালেও রক্তাক্ত হয়েছিল এই গ্রাম সংলগ্ন এলাকা।

    তবেএখন অনেকটই পাল্টেছে পরিস্থিতি। জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বসে সিআরপিএফ ক্যাম্প। নিয়ম করে এলকায় টহল দিতে শুরু করেন জাওয়ানরা। সেই সময় নতুন করে বন্ধ মন্দিরটি নজরে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন মন্দির বন্ধের ইতিহাসের কথা। ২০০৩ সালে মন্দির ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল মাওবাদীরা সেকথাও জানান গ্রামবাসীরা। এলাকায় সিআইপিএফ ক্যাম্প তৈরির আগে ভয়ে গ্রামের বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলতেন না গ্রামবসীরা। ক্যাম্প তৈরির সময়ই সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছে মন্দিরটি ফের খুলে দেওয়ার আবেদন জানান কেরলাপেন্ডা গ্রামের বাসিন্দারা।

    তারপরই শনিবার ২১ বছর পর ফের খোলা হয় মন্দিরের দরজা। ভিতরে রয়েচেন রাম, লক্ষণ এবং ম সীতার বিগ্রহ। সেগুলো নতুন করে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। শুরু হয় পুজো। আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে বিরাট পুজোর আয়োজন করবেন গ্রামবাসীরা। পাথর দিয়ে তৈরি এই মন্দিরটি অন্তত ২০০ বছরের পুরনো বলে জানিয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
  • Link to this news (এই সময়)