Lok Sabha Election: জুতোর মালা পরে ভোট প্রচারে 'গর্বিত' প্রার্থী! করজোরে ভোটের আবেদন, দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
ভোট এগিয়ে আসবে আর 'হাজার রঙ্গের' ঘটনা হবে না তা কী হয়! লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। দেশে এবার ভোট হবে সাত দফায়। প্রচার ময়দানে নেমে পড়েছেন নেতা-নেত্রীরা। প্রতিবার ভোট এগিয়ে আসা মানেই অভিনব কায়দায় নেতা-নেত্রীদের প্রচারের সাক্ষী থাকার 'সুবর্ণ' সুযোগ। প্রচারের সময় ভোটারদের নজর কাড়তে কতকিছুই না করেন প্রার্থীরা। একটাই উদ্দেশ্য ভোটারদের মন জয়। কারণ ভোটারকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই কেল্লাফতে! তবে এবার যা প্রকাশ্যে এল তা আগে কখনও প্রকাশ্য়ে এসেছে কি না তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।জনতার দরবারে ভোট চাইতে প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন উত্তর প্রদেশের আলিগড় কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী পণ্ডিত কেশব দেব। প্রচারে প্রার্থীর গলায় ফুলের মালা ঝুলবে, এমনটাই স্বাভাবিক। তবে প্রার্থী নিজের গলাতেই জুতোর মালা পরে সকলের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছেন এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এমনটাই হয়েছে। একেবারে হনহন করে 'স্মার্টলি' গলায় জুতোর মালা পরে ভোট চেয়েছেন আলিগড়ের এই নির্দল প্রার্থী। জুতোর মালার পরা পিছনে অবশ্য জোরদার যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর কাছে জুতোর মালা পরা লজ্জার নয়, বরং এক 'অতি গুরুত্বপূর্ণ' অর্থ বহন করছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে আলিগড় থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন কেশব। তাঁর প্রতীক চপ্পল। স্লোগান, 'চপ্পল লাগাও ভ্রষ্টাচারিওকো ভাগাও' (চপ্পল দিয়ে দুর্নীতিবাজদের তাড়ান)। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা ANI-এর একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সমর্থকের সঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে প্রচার করছেন কেশব। সকলকে হাতজোর করে আবেদন করছেন ভোট দেওয়ার। গলায় পরা জুতোর মালা, মাথায় সাদা পাগড়ি। ব্যবসায়ী, পথচাথীদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা য়ায় তাঁকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সকলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর যুক্তি চপ্পল মেরে তাড়ানো উচিত দুর্নীতিবাজদের। ভোটারদের বোঝাতে তাই জুতোর মালা পরতে দ্বিধাবোধ করেননি।
দেখুন ভিডিয়ো
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কেশব নিজেকে দুর্নীতি দমন সেনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেছেন। ক্ষমতা, সরকারি অফিস বা কর্তৃত্বের অপব্যবহার যাতে করা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের দেশগুলির একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে আলিগড়ে ভোট ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় ধাপে। এই আসনটি বিজেপির দুইবারের সাংসদ সতীশ কুমার গৌতমের দখলে রয়েছে। লোকসভা কেন্দ্রটি পাঁচটি বিধানসভা অংশ নিয়ে গঠিত। ১৮.৮ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন।