Supreme Court Verdict: 'ভোটের আগে আর কত জনকে জেলে ভরবেন?' ইউটিউবারকে জামিন দিয়েই স্ট্যালিনকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
২০২৪ সালের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই তৈরি হচ্ছে গোটা দেশ। এরই মাঝে অন্যরকমের রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন একজন ইউটিউবার। সেই অবমাননরদায়ে করাদণ্ডের সাজা শোনানো হয় ওই ইউটিউবারকে। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ইউটিউবার। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই আইজীবীকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ‘ইউটিউবে অভিযোগ করার ভিত্তিতে যদি কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাহলে কতজনকে জেলে বন্দি করতে হবে?’সাত্তাই দুরাইমুরুগান নামের ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তামলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেন। তারই জেরে তঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং করাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালের আগস্ট মসে জামিনও পেয়ে যান ওই ইউটিউবার। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর জামিন বতিল করে দেয়। মার্দাস হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরোদীা করেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বরস্থ হন সাত্তাই দুরাইমুরুগান।
সেই আবেদনেরই শুনানির চলাকলীন আইনজবীদের প্রশ্ন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। এই মামলয় তামিলনড়ু সরকারের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তাঁকেপাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞার বেঞ্চ। প্রশ্ন করা হয় ‘ইউটিউবে যাঁরা নানান অভিযোগ আনেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাহলে ভেবে দেখুন কতজনকে জেলে পাঠাতে হবে?’
অভিযোগ, জামিন দিলেও সাত্তাই দুরাইমুরুগানের কার্যকলাপের উপর বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে চেয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। কারণ জামিনে থাকাকালীনও একাধিকবার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে। এদিন সেই আবেদনেও কান দেয়নি শীর্ষ আদালত। কোনও মন্তব্য অবমাননাকর কিনা সেটার বিচার কে করবে বলে পাল্টা প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। তাই জামিনের রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি লোকসভা নির্বাচনের। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাদ্রাজ হাইকোর্ট ওই ইউটিউবারের জামিন বাতিলের উল্লেখ করে বলা হয়েছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীদের তাঁদের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা বিষয়বস্তু তদের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা নিশ্চিত করা উচিত। এবিষয়ে বিচারপতি বি পুগালেন্দির একটি বেঞ্চ উল্লেখ করেছিল যে মধ্যস্থতাকারীদের নজরে আনার পরেও যদি আপত্তিকর বিষয়বস্তুটি সরিয়ে না নেয় তাহলে কর্তৃপক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে মামল করবে।