কোনও পরামর্শদাতার মন্তব্যে গুরুত্ব দিই না। রাহুল গান্ধীকে নিয়ে করা প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানাল কংগ্রেস। দেশের অন্যতম পুরনো এই রাজনৈতিক দলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী পিকে। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়াপ্রশান্ত কিশোরের মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, 'এই ধরণের পরামর্শদাতার মন্তব্য নিয়ে আমি কিছু বলতে আগ্রহী নই। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কথা বলুন। পরামর্শদাতা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।' অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরকে কার্যত তিনি তাচ্ছিল্য করেছেন, তা বলাই বাহুল্য। প্রাক্তন এই ভোটকুশলীর মন্তব্যকে কোনওভাবেই যে কংগ্রেস আমল দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত।
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শপ্রশান্ত কিশোর মনে করেন, রাহুল গান্ধীর নিজের অবস্থান থেকে সরে যাওয়া উচিত। অসফল হওয়া সত্ত্বেও এভাবে নিজের অবস্থানে থেকে যাওয়া অগণতান্ত্রিক। পিকের মতে, 'রাহুল যখন বিগত ১০ বছর ধরে একই কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ কোনও সাফল্য আসছে না, তখন তাঁর উচিত ব্রেক নিয়ে নেওয়া। এটা কোনওভাবেই পরাজয় স্বীকার করা নয়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য অন্য কাউকে জায়গা করে দেওয়াই উচিত তাঁর। রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও তাই করেছিল।' ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর হত্যার পর সোনিয়া গান্ধী নিজে সরে দাঁড়িয়ে পি ভি নরসিমা রাওকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়েছিলেন। সে কথা রাহুলকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোরের সংযোজন, 'রাহুল গান্ধীকে সাহায্য করতে পারবে না যদি না তিনি নিজে নিজের ভুলগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। রাহুল মনে করেন তাঁর ভাবনাগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য কেউ না কেউ থাকবে। এটা অবাস্তব চিন্তাভাবনা।'
কংগ্রেসের গলদ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০৬ থেকে নেমে ৪৪ আসনে এসে ঠেকেছিল কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রে কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে দোষারোপ করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দাবি, 'সে সময় তো কংগ্রেসই সরকারে ছিল। ফলে কোনও মেশিনারিকে দোষ দিতে পারবেন না তারা। আসলে ওদের পরিকাঠামোতেই গলদ রয়েছে।' আবার পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রশংসায়ও করেছেন তিনি। পিকের কথায়, 'ইতিহাসে বহুবার এমন ঘটেছে ধ্বংসস্তূপ থেকে ফের পুনরুত্থান হয়েছে কংগ্রেসের। সোনিয়া গান্ধীর হাত ধরে তেমনটা হয়েছে গত ২০০৪ সালে। কংগ্রেস এমন একটি দল যা ভারতের রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তা কোনওদিনও কেউ মুছতে পারবে না। কংগ্রেসের শেষ হয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।'