• Rajiv Kumar: হামলার আশঙ্কা! লোকসভার আগে রাজীব কুমারকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা
    এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
  • হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি আছে ২০২৪ সালের সোকসভা নির্বচনের। তার আগেই আন্তর্জাতিক স্তর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে। আইবির দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজীব কুমারের নিরাপত্তা বাড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেওয়া হল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।নির্বাচনের জন্য সাম্প্রতিককালে তাঁকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে। ফলে তাঁর ওপর যাতে কোনও রকম হামলা না হয় সেই জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বহিনীর জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    রাজীব কুমারের নিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেয় আইবি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের তরফে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে এর আগেও তিনি কেন্দ্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়মিত নিরাপত্তা পেতেন। নিয়ম অনুযায়ী সেই নিরাপত্তাও বহাল থাকবে। এর পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হবে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।

    সূত্রের খবর, মোট ২২ সিআরপিএফ জওয়ান নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এবিষয়ে সিআরপিএফের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দেওয়া হবে মঙ্গলবার।

    সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গোটা পরিবারকেও সিআরপিএফের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সোমবার নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আটক করা হয় তৃণমূল নেতদের। প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল নেতারা।

    সোমবার দশ সদস্যের তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এবং ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের প্রধানদের পরিবর্তন করা হোক। এই প্রধানরা সকলেই বিজেপির নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতরা।

    পরে তৃণমূল নেতারা নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরে ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসার কথাও জানান। তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নদিমূল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিধায়ক বিবেক গুপ্ত, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস। ছিলেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র শাখার সহ সভাপতি সুদীপ রাহা। প্রতিবাদ দেখানোর সময়ই তৃণমূল নেতাদের আটক করে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছুক্ষণ পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে তারপরও থানায় রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল নেতারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতারা।
  • Link to this news (এই সময়)