যুবতীর পর এবার যুবক, চুমুতে বৈষম্য নেই বোঝাতে মরিয়া খগেন
এই সময় | ০৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রচারে বেরিয়ে এক যুবতীর গালে 'চুমু খাওয়া'র পর এবার এক যুবকের গালে চুম্বন মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর। সোমবার চাঁচলের সিহিপুর গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর এক যুবতীর গালে চুমু খাওয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই হইচই শুরু হয়ে যায়। সেই ঘটনার কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রীতিমতো সরব হয় তৃণমূল।এবার ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এক যুবককে আলিঙ্গন করে তাঁর গালে চুম্বন করলেন খগেন মুর্মু। সেই ছবিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মাঝে ওই যুবতীকে চুম্বনের বিষয়ে মুখ খুলেছেন খগেন মুর্মু। খগেন বলেন, 'ছবিটা তৃণমূলের একজন পোস্ট করেছে এবং কিছুটা এডিটেড। এটা ওদের নোংরা মানসিকতার পরিচয়। যে মেয়েটিকে চুমু খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে সে আমাদের পরিবারের একজন বাচ্চা। আমাদের এক কর্মীর মেয়ে, বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়ছে। ভালো রেজাল্ট করেছে। তাই একটু আদর করে দিয়েছি। এমনটা আমাদের নিজের সন্তানকেও করি। আর ওর মা বাবা দু'জনেই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আজকেও ওই এলাকায় প্রচার করছি। কেউ খারাপভাবে নেননি । তৃণমূলীরা ভোটের জন্য নোংরামি করছে।'
ছবিটা তৃণমূলের একজন পোস্ট করেছে এবং কিছুটা এডিটেড। এটা ওদের নোংরা মানসিকতার পরিচয়।খগেন মুর্মু
প্রসঙ্গত, নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে কিছু ছবি শেয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ছবিতে, এক যুবতীর গালে চুম্বন করতে দেখা যায় খগেন মুর্মুকে। একইসঙ্গে এক মহিলার পিঠে হাত রাখতেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও এই সময় ডিজিটাল সেই ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি। তৃণমূল ছবিগুলি শেয়ার করে লেখে, 'আপনারা এখনই যা দেখলেন যদি তা বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে আমাদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে দিন। হ্যাঁ তিনি বিজেপির সাংসদ ও মালদা উত্তরে প্রার্থী। প্রচার অভিযানে নিজের ইচ্ছায় একজন মহিলাকে চুম্বন করছেন। মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানকারী সাংসদ থেকে শুরু করে বাঙালি মহিলাদের নিয়ে অশ্লীল গান গাওয়া নেতা, বিজেপি শিবিরে নারীবিরোধী রাজনীতিবিদদের অভাব নেই। মহিলাদের সম্মানে এই ভাবেই ব্যস্ত মোদীর পরিবার! তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে ভেবে দেখুন।'
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই যুবতীও। তাঁর মতে, মা বলে যদি গালে একটা চুমু খান, তাতে কী সমস্যা আছে। যুবতীর প্রশ্ন, যাঁরা এইসব করছেন, তাঁদের এত নোংরা মানসিকতা কেন? তাঁদেরও তো বাড়িতে মেয়ে আছে। যুবতী জানান, তাঁর একপাশে মা ও অপর পাশে বাবা দাঁড়িয়েছিলন। এতে খারাপ কিছু নেই।