'প্যাকেট নিয়ে ঢুকে খালি হতে বের হন’, NIA বিতর্কে আরও বড় প্রমাণ পেশের দাবি অভিষেকের
এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
NIA এসপির বাসভবনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি একটি সাদা প্যাকেট নিয়ে ঢুকেছিলেন। বের হওয়ার সময় তাঁর হাতে কোনও প্যাকেট ছিল না। সেই প্যাকেটে কি ছিল? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, এই যাতায়াতের হাই কোয়ালিটি ভিডিয়ো ফুটেজ আদালতে জমা করা হবে বলেও জানান তিনি।NIA এসপি ধন রাম সিংকে আজই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ‘সামান্য ধমকে ছেড়ে’ দিলে হবে না, আরও বড় কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আর্জি জানালেন অভিষেক। অভিষেকের কথায়, ‘আমরা অভিযোগ করছি NIA এসপির বিরুদ্ধে। তাছাড়া NIA-এর ডিরেক্টর তাঁর বিরুদ্ধেও।
অভিষেকের কথায়, একজন এসপি তাঁর মাথার উপরে থাকা ডিরেক্টরের অনুমতি ছাড়া একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না, বিশেষ করে যখন আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তাও আবার নিজের বাড়িতে এসপি বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা আরও সন্দেহজনক বলে দাবি অভিষেকের। সেই কারণে, এই ঘটনায় NIA ডিরেক্টরের ভূমিকা নিয়েও সঠিক তদন্ত করা হোক বলে দাবি করেছেন তিনি।
অভিষেকের যুক্তি, রাজ্যের ডিজিকে পরিবর্তন করা হয়েছিল ভোটের আগে, সেখানে একজন এসপিকে বদলি করে কমিশন তো থেমে যায়নি। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই কারণেই এই ঘটনায় NIA ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অভিষেক বলেন, ‘আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
গতকাল, সোমবার রাতে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁর কাছেই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়। অভিষেক জানান, রাজ্যপাল আজ - কালের মধ্যে তাঁর পদক্ষেপের ব্যাপারে জানাবেন। এরপরেই তৃণমূলের তরফে পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর NIA রাজ্যে নিযুক্ত এসপি ধন রাম সিংয়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বৈঠক করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকি, এই বৈঠকের পরেই রাজ্যে NIA তৎপর হয়েছে এবং বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সমন পাঠাচ্ছে এবং গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করে তাঁরা। এই দাবির স্বপক্ষে তৃণমূলের তরফে বেশ কিছু প্রমাণও তুলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।