বাইরে সবুজ ভিতরে হলুদ, ভোটের বাজারে 'রংবদল' তরমুজের
এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
বঙ্গ রাজনীতিতে 'তরমুজ' শব্দের আমদানি নতুন নয়। বামেদের সঙ্গে সখ্যতার জন্য একসময় কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তরমুজ বলে কটাক্ষ করতেন কেউ কেউ।। আর বর্তমান রাজ্য রাজনীতিতে বাম কংগ্রেসের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সমঝোতা। কেউ কেউ বলেন, এই আসন সমঝোতাও কার্যত পরোক্ষভাবে বঙ্গ রাজনীতিতে সেই 'তরমুজ' শব্দকেই ফিরিয়ে এনেছে। আর এবার ভিতরে ভিতরে রং বদলে ফেলল 'তরমুজ'ও।হুগলির পান্ডুয়ার তিন্নার এক ফল ব্যবসায়ী বেঙ্গালুরু থেকে কিছু তরমুজ এনেছেন। সেই তরমুজ এলাকায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। তাঁর কাছে লাল তরমুজ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে হলুদ তরমুজ। অর্থাৎ এবার তরমুজের রংবদল। এখন ভোটের সময় সব রাজনৈতিক দল নেমে পরেছে প্রচারের ময়দানে। তরমুজ জলজ ফল হওয়ায় গরমে তার উপকারীতা অনেক। তাই ভোট বাজারে তরমুজ বিকোচ্ছে দেদার। তবে এই তরমুজ এলাকা রাজনৈতিকমহলেও বেশ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য অনুদ্যুতি চক্রবর্তী বলেন, 'একসময় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তরমুজ বলা হত। এখন তৃণমূল বিজেপির যে সেটিং তা সবার জানা। তাই সঠিক সময়ে এই তরমুজ বাজারে এসেছে, এবং প্রাসঙ্গিক হয়েছে। বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে বাম কংগ্রেস লড়াই করছে। সিপিএম প্রদীপ সাহা বলেন, 'তরমুজের রঙ কী, তার উপর দাঁড়িয়ে ভোট হয় না। বামপন্থীরা ঘোষিত আরএসএস বিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে ভোট এক জায়গায় করার চেষ্টা চলছে গোটা দেশজুরে। ইডি সিবিআই তদন্ত করে কালীঘাট পর্যন্ত যায় না। এতেই বোঝা যায় বিজেপি তৃণমূল আঁতাত।'
এদিকে তৃণমূলের সঞ্জয় ঘোষ বলেন, '২০১৯ সালে বামের ভোট রামে গিয়েছিল, যে কারণে হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন। আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে যেটা বলা হত তরমুজ। এখন দেখা যাচ্ছে ভিতরে গেরুয়া বাইরে লাল। সিপিএম বিজেপির ভিতরে ভিতরে সেটিং হয়ে আছে। প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।' বিজেপির পাণ্ডুয়া মণ্ডল সভাপতি অমিতাভ ঘোষের দাবি, 'বিজেপি এতবড় দল যে তাদের অন্য কাউকে প্রয়োজন নেই। নিজের দমে নির্বাচন লড়তে পারে বিজেপি। তরমুজ সিপিএম কংগ্রেস বা তৃনমূলের জন্য সঠিক। কারই তারা ইন্ডিয়া জোটে আছে।' তবে তরমুজ বিক্রেতা রবি মাল অবশ্য জানাচ্ছেন, বেঙ্গালুরু থেকে এই তরমুজ আনা হয়েছে। এবারই প্রথম এই হলুদ তরমুজ এসেছে। দাম লাল তরমুজের থেকে কিছু বেশি। তবে খুবই সুস্বাদু, তাই বিক্রিও ভালোই হচ্ছে।