প্রবীর চক্রবর্তী ও রাজীব চক্রবর্তী: 'নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয়'! রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এবার চিঠি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ভোটের মুখে NIA, সিবিআই, ইডি ও আইটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি। বাদ গেল না NIA-এ এসপির সঙ্গে বিজেপির নেতা জিতেন তিওয়ারি বৈঠকের প্রসঙ্গও।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল, সোমবার। দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল ১০ সদস্যের প্রতিনিধিরা। কিন্তু স্মারকলিপি দেওয়ার পর যখন বাইরে ধরনায় বসেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেনরা, তখন তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে পুলিস প্রিজন ভ্য়ানে তোলে বলে অভিযোগ। এরপর রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও।রাজভবন থেকে বেরিয়ে কমিশনকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, 'দিল্লিতে যে সরকারটা রয়েছে. সে সরকারের দায় এখন নয়। পুরো ব্যবস্থটাই যে মুহুর্ত থেকে নির্বাচন ঘোষণা হয়, চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। শান্তিপূর্ণভাবে ১০ জন যদি বসে প্রতিবাদ জানায়, তাঁদের হাতে কি ছিল? বোমা, বন্দুক, লাঠি! দোলার সেনের পায়ে অপারেশন হয়েছে ২ সপ্তাহ আগে। তাঁকে টানতে টানতে অমানবিকভাবে নিয়ে গিয়েছে। ডেরেক ও'ব্রায়নকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিস'। আজ, মঙ্গলবার চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সামনে থেকে তুলে দেওয়ার দিল্লির মন্দিরমার্গ থানায় ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কর্মসূচি ছিল ২৪ ঘণ্টা। ধরনা শেষ হল আজ, মঙ্গলবার। দোলা সেন বলেন, 'কাল কমিশনকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর থেকে আমরা ধরনা ছিলাম। কমিশনের অফিস থেকে সামনে ধরনা শুরু হয়েছি, সেই ধরনা ২৪ ঘণ্টা জারি রেখেছিলাম। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাল রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করেছেন। আজ, রাজ্য়পালের কাছে আমাদের দলের তরফে চিঠিও দিয়েছেন'।