CPIM West Bengal : বিদেশে পড়াশোনা, কর্পোরেট চাকরি থেকে রাজনীতি! কতোটা আত্মবিশ্বাসী সায়রা হালিম?
এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
মানুষ এই বারের নির্বাচনে শিক্ষা দেবে সেই সব দলকে, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা সব সময় ধর্মীয় রাজনীতির পথে চলছে। খেটে খাওয়া মানুষ ভালো শিক্ষা, চাকরি এবং মহিলাদের সুরক্ষা চায় – এটাই বার্তা দক্ষিণ কলকাতার বাম প্রার্থীর। স্বামীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। কর্পোরেট জগতের ঝাঁ চকচকে জীবন ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেছেন তিনি। কথা হচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে নিয়ে।সায়রার বাবা জমিরউদ্দিন শাহ ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে কর্মরত থাকাকালীন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়েছে ছোট থেকেই। পড়াশোনার জন্য ঘুরতে হয়েছে আরবের বিভিন্ন দেশে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা রিয়াধ থেকে। পরবর্তী কালে রাজস্থানে ফিরে এসে সেখানে ইংরেজি সাহিত্য উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন সায়রা।
এরপরেই কর্পোরেট জগতে প্রবেশ। ভালো বেতনের ১০টা - ৫টা চাকরি জীবনেই অনেকটা সময় কাটান তিনি। স্বামী প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমকে দেখেই রাজনীতির ময়দানে নামেন সায়রা। এর আগে স্বামীর জন্য প্রচারেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বাম নেতৃত্ব ২০২২ সালে উপ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। প্রথমবারের নির্বাচনে যদিও হারতে হয়েছিল তাঁকে। এবার লোকসভার মহারণের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে।
কোন ইস্যুতে লড়াই হবে রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্রে। যেখান থেকে এক সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে লড়াই করতেন। এই সময় ডিজিটালকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সায়রা বলেন, ‘মানুষকে এই নির্বাচনে শিক্ষা দিতেই হবে, যে কোনও দুর্নীতিকে সহ্য করবে না। হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় বিভেদ করে রাজনীতি করে তাঁদেরকে কোনওভাবেই সমর্থন করবে না।’
১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে টানা জিতে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্র থেকে লড়তেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয় মালা রায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে আবার বিজেপি উড়িয়ে এনেছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের বিজয়ী প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীকে। দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কর্পোরেট জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা মহিলা প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে বামেরা। তবে শেষ হাসি হাসবেন কে? এই কেন্দ্র থেকে গতবার দুই লাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন মালা রায়। এবার কী হবে, সেটা সময় বলবে?