পেল্লাই ভেটকি। ওজন জানলে ভিরমি খাওয়ায় জোগাড়। বিশালাকৃতির একটি ভেটকি মাছ ধরলেন হাওড়ার এক মৎস্যজীবী। মঙ্গলবার ভালো লক্ষ্মী লাভ হল ওই মাছ ব্যবসায়ীর। এক দিনেই ভালো টাকা উপার্জন করে হাসি ফুটল মৎস্যজীবীর মুখে।অনেকদিন ভাগীরথী নদীতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরলেও সেভাবে মাছ পড়ছিল না। সেই কারণে কিছুটা হলেও হতাশ ছিলেন হাওড়া জেলার শ্যামপুরের শিবগঞ্জের বাসিন্দা মৎসজীবি পরিমল বারুই। মঙ্গলবার সকালেও নদী থেকে ছিপ নিয়ে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই মৎসজীবি। আশাও করতে পারেননি আজকে তাঁর বৃহস্পতি তুঙ্গে। মোটা টাকা উপার্জন করে বাড়ি ফিরবেন তিনি, আঁচ করতে পারেননি তখনও।
মাছ ধরতে গিয়ে এবার তাঁর ছিপে ধরা পড়ল ১৯ কেজি ওজনের বিশালাকার একটি ভেটকি মাছ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে শ্যামপুরের শিবগঞ্জ লাগোয়া ভাগীরথী নদীতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিলেন পরিমল বারুই। সেইসময় পরিমল বাবুর ছিপে ধরা পড়ে বিশালাকার ভেটকি মাছ। পরে পরিমল বারুই স্থানীয় আছের আড়তে ভেটকি মাছটিকে নিয়ে যান। সেখানে ভেটকি মাছটি দেখতে ভিড় জমে যায় উৎসুক জনতার। তবে সেই মাছ কিনবেন কে? কত দাম উঠতে পারে মাছটির? এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। অবশেষে সেখানে এক ক্রেতা ৬৬০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। প্রায় সাড়ে বারো হাজার টাকা দাম ওঠে মাছটির। মোটা টাকা উপার্জন করে খুশি এই মৎস্যজীবী।
এর আগে হাওড়া জেলায় দামোদর নদী থেকেও একাধিক বিশালাকৃতির মাছ উঠেছে। কিছুদিন আগেই হাওড়া জেলারশ্যামপুরের শিবগঞ্জে দামোদর নদীতে থেকে ধরা হয় একটি বিশাল আকারের ব্ল্যাক কার্প মাছ। মাছটি ধরছিলেন মৎসজীবী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। মাঝে মধ্যেই প্রমাণ সাইজের মাছ ধরা পড়লেও এত বড়ো ব্ল্যাক কার্প দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান। শ্যামপুরের স্থানীয় বাজারে মাছটি দেখতে ভিড় জমিয়ে দেন এলাকার বাসিন্দারা। দামোদরের গর্ভে রকমারি মাছের কমতি নেই। মাঝেমধ্যেই নানা প্রজাতির মাছ উঠে আসে মৎসজীবীদের জালে।
এর কিছুদিন আগেই শ্যামপুরের রূপনারায়ণ নদীতে মৎসজীবীর জালে ধরা ধরা পড়েছিল একটি ১৪ কেজি নড়ে ভোলা মাছ। সেই মাছটিও কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবার ভাগীরথী নদী থেকে উঠে এল এই বিশাল সাইজের ভেটকি মাছ। মাছটি বিক্রি করার পর ভালো উপার্জনের কারণে খুশি পরিমল বারুইয়ের পরিবারের লোকজনও।