• পুরসভার দায়িত্ব সামলে দার্জিলিং-জলপাইগুড়ির দুই প্রার্থীকে জেতাতে ছুটছেন মেয়র গৌতম দেব
    বর্তমান | ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: নাওয়া-খাওয়ার বালাই নেই। বিশ্রামেরও জো নেই। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র গৌতম দেব। কখনও নিজেই প্রার্থীর দেওয়াল লিখছেন। আবার কখনও পদযাত্রা, কর্মিসভা করছেন। তাঁর টার্গেট— জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং আসন দু’টি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেওয়া। 

    মেয়র বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। কাউন্সিলার, মেয়র, মন্ত্রী হয়েছি। দলের সুপ্রিমো অনেক সম্মান দিয়েছেন। আমার উপর তিনি ভরসাও করেন। তাই এবার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি এই দু’টি লোকসভা কেন্দ্র দিদিকে উপহার দেওয়ার শপথ নিয়েছি। 

    শিলিগুড়ি তো বটেই, উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম গৌতম দেব। প্রতিদিন সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের ফোনে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেন। তারপর কোনওরকমে স্নান ও জলখাবার সেরে বের হন ভোটের ময়দানে। 

    সকাল ১০টার মধ্যে এই কাজ সেরে পুরসভায় কাজে ডুব দেন মেয়র। দফায় দফায় চলে প্রশাসনিক বৈঠক। কখনও জল সমস্যা মেটাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক। আবার কখনও জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি নালা সংস্কার ও রাস্তা মেরামতির কাজের তদারকি। বিকেলের পর আবার বের হন ভোটের ময়দানে। কখনও পুরসভার সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ডে ও ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি ও রাজগঞ্জে গিয়ে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের হয়ে ভোট প্রচার, মিটিং, পদযাত্রা, কর্মিসভা, পাড়া বৈঠক করছেন। আবার শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকায় গিয়ে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থীর ভোটের ময়দানে তদারকি করছেন। এজন্য কখনও দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারছেন। শুধু তাই নয়, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত্রিবাসও করছেন। 

    ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দু’টি কেন্দ্রে জয়ের প্রার্থনা করে বিভিন্ন মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, দীর্ঘ লড়াই করে শিলিগুড়ি শহর থেকে মুছেছি ‘লালদ্বীপের’ তকমা। এবারের ভোটযুদ্ধে শহরের মাটি থেকে পদ্মফুলের শেকড় উপড়ে ফেলার টার্গেট নিয়েছি। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়েছি। 

    তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা ছাত্র জীবন থেকেই রয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পুরভোটের মধ্যদিয়ে তাঁর সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। পাঁচবার পুরভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। দু’বার বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে মেয়র। এরবাইরে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার জিতে মন্ত্রী হয়েছেন। পাশাপাশি সামলেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
  • Link to this news (বর্তমান)