World Temperature Record: ইতিহাসের উষ্ণতম বছর, গরমে হাসফাঁস পৃথিবী
এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সর্ভিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, যে আগের উষ্ণতার সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এমনকি আগের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে চলতি বছরের মার্চ মাস। আগের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে গত মার্চ মাসের তাপমাত্রা ১৪.১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সর্ভিস এক মাসিক বুলেটিনে জানয়েছে, গত ১০ মাসের প্রতিটি মাসই আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেকর্ডে থাকা বিশ্বের উষ্ণতম মাস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সলের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মস পর্যন্ত বিশ্বের গড় তাপমত্রা ছিল প্রাক শিল্প যুগের অর্থাৎ ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের। গড় তাপমাত্রা থেকে এক দশমিক ৫৮ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের উপ পরিচালক সামান্হা বার্গেস জানিয়েছেন, ব্যতিক্রমী রেকর্ড নিয়ে উষ্ণতার দীর্ঘমেয়াদি এমন প্রবণতা আমদেরখুবই উদ্বিগ্ন করেছে। মাসের পর মাস তাপমাত্রার এইধরণের রেকর্ড দেখলে বোঝা যায় যে আমাদের জলবায়ু খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। সূত্রের দাবি, গত দশ মাস পৃথিবীর ইতিহাসের উষ্ণতম টানা দশটি মাস। যার প্রতিটি মাসেই তৈরি হয়েছে তাপমাত্রার একটি করে নতুন রেকর্ড। সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রেখেছে গত মার্চ মাসটি। রেকর্ডের থাকা সবচেয়ে উষ্ণতম মাস ছিল এই মার্চ মাস। ১৮৫০ সালের পর ২০২৩ সাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। তবে চরম আবহাওয়া এবং ব্যতিক্রম তাপমাত্রা এই বছরও বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
আমাজন রেইনফরেস্ট অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজিত খরার কারণে গত জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভেনেজুয়েলায় রেকর্ড সংখ্যক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার খরা সমস্ত ফসল নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এই চরম উষ্ণতা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অভুক্ত করেছে।
জাতি সংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকর প্যানেল সতর্কত জারি করেছে, ২০৩০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসয়াস ছড়িয়ে পড়তে পরে।
চরম উষ্ণতায় উত্তপ্ত সাগরও-গত মার্চ মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রাও একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে। সি৩এস জানিয়েছে, মার্চ মাসে বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ২১.০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাস হিসেবে রেকর্ডের সর্বোচ্চ মান। তাপমাত্রার এই নাম ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড কর তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি।
আমাদের গ্রহের ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে উৎপাদিত কার্বনডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস বেরনোর ফলে সৃষ্টি হওয়া অতিরিক্ত তাপের ৯০ শতাংশ শোষণ করে জলবায়ুকে বাসযোগ্য রাখতে সাহয্য করে এই মহাসাগরগুলি।