• Peter Higgs Passed Away : মিস্ট্রি অব মাস! 'ঈশ্বরকণা'র আবিষ্কারক হিগস প্রয়াত
    এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: প্রয়াত হলেন ‘ঈশ্বর কণা’র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পদার্থবিদ পিটার হিগস। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রের খবর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বিজ্ঞানীর মৃত্যুসংবাদ দিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে ব্রিটেনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ও।পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে শিক্ষকতা করা পিটার হিগসকে ‘গ্রেট টিচার, মেন্টর’-এর পাশাপাশি তরুণ বিজ্ঞানীদের অনুপ্রেরণা বলেও উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৩-য় পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান পিটার হিগস। খুব সম্ভবত, পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা আন্দাজ করেই ওই দিন লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান বিজ্ঞানী।

    ‘ইলিউসিভ: হাউ পিটার হিগস সলভড দ্য মিস্ট্রি অব মাস’ নামে সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞানীর জীবনীতে লেখক ফ্র্যাঙ্ক ক্লোজ় লিখেছেন, ‘সাংবাদিকরা যাতে বিরক্ত করতে না-পারে সে জন্যই নোবেল ঘোষণার দিন বাড়ির কাউকে কিছু না-জানিয়ে চলে যান প্রফেসর-সায়েন্টিস্ট হিগস। খুব সম্ভবত সে বারই প্রথম নোবেল প্রাপকের কোট ছাড়াই সেই খবর বেরোয় সব মিডিয়ায়।’

    হিগসের সঙ্গে যুগ্মভাবে পুরস্কার ভাগ করে নেওয়া বেলজিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রঁসোয়া এঙ্গলার্ট অবশ্য যথারীতি মিডিয়া-বাইট দিয়েছিলেন।

    প্রায় ৫০ বছরের অধ্যাবসায়ে হিগসের আবিষ্কারও অবশ্য কম মিস্টিরিয়াস নয়। কী সেই ‘হিগস বোসন পার্টিকল’? বিজ্ঞানের ভাষায়— পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের প্রস্তাবিত মৌলিক কণাই হিগসের সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার।

    এই হিগস বোসন কণা হলো সেই কণা, যা অন্য কণাকে ভর জোগায়। এমনটা না-হলে, এই ব্রহ্মাণ্ডই লন্ডভন্ড হয়ে যেত বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। খোদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাছে নিজের থিয়োরি পেশ করে চমকে দিয়েছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোস। তাঁর সেই তত্ত্বই পরে ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব’ নামে পরিচিত হয়। সেই তত্ত্ব মেনে চলে যে সব কণা, তাদের ঠাঁই হয় বোসন শ্রেণিতে।

    আর পিটার হিগসদের কৃতিত্ব যেন আরও খানিকটা এগিয়ে। বলা হয়, বোস-আইনস্টাইন থিয়োরিতে যে সব কণার চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা যায় না, তার সমাধান রয়েছে পিটার-ফ্রঁসোয়ার আবিষ্কারে। ১৯৬৪-তেই যার একটা আইডিয়া দিয়েছিলেন এ দিন প্রয়াত পিটার হিগস।
  • Link to this news (এই সময়)