২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেই যেত BJP। আদিবাসী মানুষদের টিপরা মোথার মাধ্যমে বোক বানানো হয়েছিল। তেমনটা না হলে ধরাশায়ী হত গেরুয়া শিবির। এমনটাই দাবি করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহার সমর্থনে ত্রিপুরা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে পৌঁছে গিয়েছিলেন মানিক সরকার। সেখানে নির্বাচনের সভামঞ্চ থেকে CPIM-এর এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, '২০১৮ সালে BJP-র ভোটের হার ছিল ৫১ শতাংশ। যা ২০২৩ সালে ৩৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। যা প্রমাণ করে মানুষের ভরসা উঠে গিয়েছিল তাদের উপর থেকে। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে CPIM তাদের হারিয়ে যাওয়া ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু, রণে ভঙ্গ দেয় টিপরা মোথা। BJP বিরোধী আদিবাসী ভোট ভাগাভাগি হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে তারা। আদিবাসী মানুষদের টিপরা মোথা যদি বোকা না বানাতেন তবে ভোটের ফল অন্যরকম হতে পারত।' অর্থাৎ বামের ভোট যে রামে গিয়েছে এবং তার নেপথ্য রয়েছে টিপরা মোথা, তা একপ্রকার বুঝিয়েই দিয়েছেন CPIM নেতা।
কেন্দ্রর BJP শাসনের অবসান ঘটাতে এবং নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করতে ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন মানিক সরকার। CPIM কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি জানি আপনারা কংগ্রেসের প্রতীকে ভোট দিতে অভ্যস্ত নন। তবে এবার গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষা করতে আপনাদের তেমনটা করতেই হবে।'
গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের পর দেখা যায় ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসে টিপরা মোথা। তারা ১৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর BJP নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগদান করে তারা।
ত্রিপুরায় লোকসভা ভোট রয়েছে দু'দফায় । দু'টি আসন রয়েছে এই রাজ্যে। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে BJP দু'টি আসনেই জয়ী হয়েছিল। BJP গত ২০১৯ সালের নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস তথা বিরোধীদের অবস্থা এ রাজ্যে এ বছরের নির্বাচনে কেমন হয়, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা উপেক্ষিত বলে একাধিকবার সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। এদিকে, পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে জোরাল দাবি, নরেন্দ্র মোদীর সরকার বরাবরই উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প তৈরি হয়েছে এখানে। এই উত্তর পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ত্রিপুরায় NDA এবং INDIA জোট কেমন ফলাফল করে সেটাই এখন দেখার।