মোদী-শাহের জোড়া সভা হবে সুকান্ত-গড়ে? জল্পনা বঙ্গ-বিজেপির অন্দরে
এই সময় | ১০ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: তিনি নরেন্দ্র মোদীকে চান। অমিত শাহকেও। দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারকে এটুকু ‘প্রিভিলেজ’ কি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেবেন? ঘনিষ্ঠ মহলে সুকান্ত বলছেন, সেই সম্ভাবনা প্রবল।২০১৯-এর পর এ বারও বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ, বুধবারই তাঁর কেন্দ্রের বুনিয়াদপুরে নির্বাচনী জনসভা করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। বালুরঘাটের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তা নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বাসও রয়েছে। কারণ, বালুরঘাট দিয়েই বঙ্গে এ বার লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন শাহ।
তবুও মনটা খচখচ করছে সুকান্তর! প্রধানমন্ত্রী কি একবার ঢুঁ মারতে পারবেন না বালুরঘাটে? ক’দিন আগেই তিনি পাশের জেলা জলপাইগুড়িতে সভা করে গেলেন। তার আগে কোচবিহারে। বালুরঘাট তবে বাদ যায় কেন? অমিত শাহের পর নরেন্দ্র মোদীও তাঁর কেন্দ্রে জনসভা করলে ভোট-যুদ্ধে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ মিলবে বলেই মনে করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
তবে ঘটনা হলো, সচরাচর একই কেন্দ্র ভোট প্রচারে যান না মোদী ও শাহ। বিজেপির ‘প্রচার কমিটি’ থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়, কোন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী যাবেন, আর কোন কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে বিজেপির এই দুই হেভিওয়েটকে একই কেন্দ্রে প্রচারে নিয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে হাল ছাড়ছে না সুকান্ত-শিবির। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থীর ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, বঙ্গ-বিজেপিতে সুকান্তই যে সব থেকে হেভিওয়েট, এই বার্তাটুকু প্রচার করার জন্য অন্তত বালুরঘাটে মোদী-শাহের জোড়া সভা প্রয়োজন।
এখনও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও সবুজ সঙ্কেত এসে পৌঁছায়নি বালুরঘাটে। তবে সূত্রের খবর, মোদীকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন সুকান্ত। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বালুরঘাটে প্রধানমন্ত্রীর সভার বিষয়ে এখনও ওঁর দপ্তর থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি চর্চায় তো আছেই। দলের দুই শীর্ষ নেতা আমার সমর্থনে বালুরঘাটে প্রচারে এলে তো দারুণ ব্যাপার। রাজ্য সভাপতির আসন বলে হয়তো বাড়তি গুরুত্ব তাঁরা দিতেও পারেন।’
তবে সুকান্তর কেন্দ্রে মোদী-শাহের জোড়া সভার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলাও হচ্ছে পদ্ম শিবিরে। দলের একাংশের যুক্তি, হঠাৎ বালুরঘাট কেন? প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে বরং সাংগঠনিকভাবে দুর্বল কোনও কেন্দ্রে সভা করানো হোক।
যেখানে তাঁরা জোড়া জনসভা করে হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘সুকান্তর কেন্দ্র বালুরঘাটে মোদী-শাহ সভা করলে শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর খাসতালুক কাঁথি, তমলুকে দু’জনের সভা চাইবেন। সব কিছুর একটা নিয়ম থাকা উচিত। যে আসনগুলিতে আমরা ২০১৯-এ হেরেছিলাম, সেরকম কেন্দ্রে মোদী-শাহের সভা ফেললে বরং বেশি লাভ হতে পারে।’