• সরকারি পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার! গ্রেফতার বিজেপির বুথ সভাপতি
    ২৪ ঘন্টা | ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • কিরণ মান্না: লক্ষ্ণীর ভান্ডার দেওয়া হয় গৃহবধূদের। সেই জায়গায় তা পেয়েছেন এক পুরুষ। খানাকুলের বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থেকে গ্রেফতার এক বিজেপিপর বুথ সভাপতি। ধৃত ব্যক্তি স্বীকারও করেছেন তানি টাকা পেয়েছেন। কী হয়েছিল আসলে?

    হুগলির খানাকুল দু নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে কারচুপি করে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ তার ছেলে ও কয়েকজন পেয়েছিল লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর এনিয়ে খানাকুল দু'নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিসের সহযোগিতায় ময়না এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যায় পুলিস। শ্রীকান্ত দাস বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। শ্রীকান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের ছেলে। খানাকুল বিডিও অফিসে কাজ করতেন শ্রীকান্ত। তিনি নজের নামে ও বাবার নামে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ।শ্রীকান্ত বাড়িতে না থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। বিডিওর অভিযোগে ভিত্তিতে শ্রীকান্ত দাসের বাবা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে এলাকার গোপাল জানা এবং সনাতন জানা এদের কেও গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিসের সহযোগিতায় খানাকুল থানার পুলিস। কারচুপি করে লক্ষ্মীর ভান্ডার টাকা তোলার অপরাধে তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপির বুথ সভাপতি জানিয়েছেন টাকা একাউন্টে ঢুকেছিল কিন্তু পরে তা বন্ধ করা হয়েছে।এনিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশীষ মণ্ডল বলেন, একটা বিষয় প্রথমে স্পষ্ট করে দিই যে বিজেপি কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না। এটা গোটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে। ময়নাতে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপি এখনে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। তার পরেও বলব, খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না ব্লকের বিজেপি বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। স্পষ্ট করে বলব এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। তার কারণ খানাকুলে আমাদে বুথ সভাপতির ছেলে ডেটা এন্টির কাজ করত। সেখানে আমি বলব বিডিওর লগ ইন পাস ওয়ার্ড হ্যাক করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব। এন্ট্রি করার সময় যেখানে আধার বা অ্যাকাউন্টের ডিটেল চাওয়া হয়।পূর্ব মেদিনীপুর ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জডিত তারা গ্রেতার হবেন। লক্ষ্ণীর ভান্ডার মায়েদের জন্য ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কোনও ছেলে যদি তাদের নাম এন্চ্রি করে টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে নেয় তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্য়বস্থা নেবে।ধৃত বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাস বলেন, ছেলে কলকাতায় কাজ করে। ওখান থেকে টাকা পাঠিয়েছে। ওসব আমি বুঝি না। লক্ষ্মীর ভান্ডার আমি পাই। সেটা নাকচও হয়ে গিয়েছে। ছেলে সঙ্গে বিডিও অফিসের লোকরা বসে তা নাকচ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বুথ সভাপতি আছি বলেই আমার উপরে এরকম হচ্ছে। ইন্দিরা আবাসনের টাকা পেয়ে বাড়ি করেছি। লোকজন বলছে আমার প্রচুর টাকা।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)