শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: মঙ্গলের সন্ধেয় ফের রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে গতকালই একটি চিঠি পৌঁছেছে রাজভবনে। তারই ভিত্তিতে এই সাক্ষাৎ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। গত পরশু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে যে চিঠি জমা দিয়েছিলেন, তা ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তু স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর যখন বাইরে ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেনরা ধরনায় বসেন, তখন তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে পুলিস প্রিজন ভ্য়ানে তোলে বলে অভিযোগ। এরপর সেদিন রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। রাজভবন থেকে বেরিয়ে কমিশনকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, 'দিল্লিতে যে সরকারটা রয়েছে, সে সরকারের দায় এখন নয়। পুরো ব্যবস্থটাই যে মুহুর্ত থেকে নির্বাচন ঘোষণা হয়, চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। শান্তিপূর্ণভাবে ১০ জন যদি বসে প্রতিবাদ জানায়, তাঁদের হাতে কি ছিল? বোমা, বন্দুক, লাঠি! দোলার সেনের পায়ে অপারেশন হয়েছে ২ সপ্তাহ আগে। তাঁকে টানতে টানতে অমানবিকভাবে নিয়ে গিয়েছে। ডেরেক ও'ব্রায়নকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিস।' তারপর মঙ্গলবারই রাজ্যপালকে চিঠি দেন অভিষেক। ফের রাজ্যপালের সাক্ষাৎপ্রার্থী হওয়ার কথা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, 'আগামিকাল বা আজ, যখন আমাদের সময় দেবেন, রাজভবনের তরফে সময় পাব। তারপরই দেখা করে আমাদের পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করব।' প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রাজ্যপালকে চিঠি দেন অভিষেক। ভোটের মুখে NIA, সিবিআই, ইডি ও আইটির বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন তিনি। বাদ যায়নি NIA-এ এসপির সঙ্গে বিজেপির নেতা জিতেন তিওয়ারি বৈঠকের প্রসঙ্গও।