গোবিন্দ রায়: ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে রক্ষাকবচ পেল NIA। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ ওই আধিকারিকদের এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল পুলিশ। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল পুলিশ। তবে সেক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে। যেখানে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। গত শনিবার এই বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গ্রামে যান এনআইএ আধিকারিকরা। অভিযোগ, দুই তৃণমূল নেতাকে নিয়ে এলাকা থেকে বেরনোর সময় আধিকারিকদের উপর হামলা হয়। তা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
আক্রান্ত হওয়ার পরেও এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাই কোর্টে এনআইএ-র আইনজীবী জানান, সন্দেশখালি এবং ভূপতিনগরে একই ঘটনা ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ মেনে ভূপতিনগরে গিয়ে আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। অথচ এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। ওই এফআইআরের ভিত্তিতে যাতে কোনও পদক্ষেপ না নেয় পুলিশ, সেই আর্জি জানায় আদালতে। রাজ্যের দাবি, পুলিশের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগই করেনি এনআইএ। এর পরই আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য পুলিশ।
বিচারপতি বলেন, ?কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন? কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?? পালটা যুক্তি দেয় রাজ্য। দাবি, কোনও মহিলা যদি এসে অভিযোগ করেন থানায়, তাহলে পুলিশ তা গ্রহণ করতে বাধ্য। অভিযুক্তের স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে কেন পুলিশ এত উদ্বিগ্ন, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। সওয়াল জবাব শেষে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে রক্ষাকবচ পেল NIA।