আজ, কাল, পরশু- এই করতে করতে তৃণমূলের লোকসভা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ১ মাস কেটে গেল। বাংলায় ৪২ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরাই প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।বুধবার দশম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে BJP। কিন্তু, সেখানেও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম নেই। এবার আর মুচকি হাসি নয়, ঠোঁট দীর্ঘ বিস্তারিত করে দাঁত দেখিয়ে, ঝর ঝরে হাসি দিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরের নেতারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পর এক মাস পার হয়ে গেল, এখনও কেন প্রার্থীর নাম দিতে পারল না গেরুয়া শিবির? প্রশ্ন তাঁদের। কিছু তৃণমূল নেতা তো খুল্লামখুল্লা বলছেন, ‘বল কী কাকা, ডরাইসে!’
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ‘ভোল্টজ’-যে যথেষ্ট ‘হাই’, তা নিয়ে দ্বিমতের কোনও জায়গা নেই। সেখানে গত দুই বছরের মতো এই বছরও ভোট রণাঙ্গনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ স্বয়ং অভিষেক। ১০ মার্চ তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর বঙ্গের তাপমাত্রা-আবহাওয়া-তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষজনের জীবনে বদল এসেছে। কিন্তু, ডায়মন্ড হারবারে পদ্ম সৈনিক কে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। বুধের প্রার্থী তালিকাতে নজর বুলিয়েও যখন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের পদ্ম শিবিরের গলায় নীচু তলার কর্মীদের কণ্ঠে হতাশা, সেই সময় BJP-কে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।
তিনি বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী জোগাড় করতে পারছে না BJP। ওরা এআই প্রার্থী তৈরি করছে।' কুণালের কৃত্তিম মেধাকে সামনে রেখে ‘অকৃত্তিম কটাক্ষ’-এর উপর আক্রমণের আরও প্রলেপ লাগিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থী তালিকায় ২৬ থেকে ২৭ জন শুভেন্দু ক্যাম্পের লোক। দিলীপ ঘোষকেও নিজের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এর অর্থ তাঁর উপর হয় ভরসা নেই, না হলে কাঁচি করা হয়েছে। আদি এবং নব্য BJP-র লড়াই তুঙ্গে। এর মধ্যে ডায়মন্ড হারবারে শোচনীয় পরাজয় এড়ানোর জন্য কাকে প্রার্থী করা যায়, তাই এখন ওই দলের জন্য চিন্তার। অনেকেই রাজি হচ্ছেন না। শুভেন্দু অধিকারী নওশাদ সিদ্দিকিকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তা হয়নি। BJP-তো ভুল করেও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের নাম মুখে আনছে না।’
এদিকে পালটা দলীয় ‘স্ট্র্যাটেজি’ প্রসঙ্গ শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের কণ্ঠে। বঙ্গ BJP-র মুখপাত্র রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ বলেন, ‘BJP যা করে অনেক ভেবে চিন্তে, হিসাব কষে করে। জল্পনা চলুক। একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। এটা নিয়ে আমরা মজা পাচ্ছি। কিন্তু, অপেক্ষা করতে হবে। যখন নাম প্রকাশ করা হবে তখন সকলে নিশ্চই জানতে পারবেন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হল।’