ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে পাপিয়া চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। আর তারপরেই সেই প্রার্থীকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে দলের একাংশের মধ্যে। কংগ্রেসের একটা অংশ ঘাটালের প্রার্থী হিসেবে পাপিয়া চক্রবর্তীকে মানতে নারাজ। এমনকী এই নিয়ে ক্ষোভের আঁচ পৌঁছে যায় বিধানভবন পর্যন্তও। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে এই সময় ডিজিটালে মুখ খুললেন খোদ পাপিয়া চক্রবর্তী।পাপিয়া বলেন, 'প্রত্যেকটা দলেই তো এক একটা লবি থাকে, এটা খুব একটা অবাক করা বিষয় নয়। ১০ থেকে ১২ জন এসেছিলেন, তার মধ্যেও ২-৩ জন ঘাটলের। যেখানে AICC প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়..., প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে গিয়ে তো AICC কোনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে না। অনেক জায়গায় বিক্ষোভ হয়। অন্যান্য দলে তো চেয়ারটেবিল ভাঙচুর হয়। আর আমরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলছি, সেখানে যদি দলের মধ্যে এইটুকু জায়গা না থাকে যে লোকেরা এসে একটু কথা বলবেন, চেঁচামেচি করবেন, এটা তো এমন কিছু বিশাল ব্যাপার নয়। আমি এটাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছি না।' তবে লবির কথা বললেও নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করেননি পাপিয়া।
জট কেটে যাওয়ার আশাদিন কয়েক আগে বিধানভবনে যে অশান্তির ঘটনা ঘটে সেখানে দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ প্রদীপ প্রসাদকে প্রার্থী করার দাবি তুলেছিলেন। যদিও পাপিয়া চক্রবর্তীর দাবি, তালিকায় প্রদীপ প্রসাদের নামই ছিল না। একইসঙ্গে ঘাটাল থেকে তিনি লড়ছেন বলেও এদিন কার্যত দাবি করেন পাপিয়া। তিনি বলেন, 'কিছুদিনের অপেক্ষা, জটটা কেটে যাবে, ওটা মূলত সিপিআই করেছ।'
বিজেপি থেকে যোগ কংগ্রেসেপ্রসঙ্গত, ঘাটাল আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল কংগ্রেসের। তার মাঝেই হঠাৎ করে হাত শিবিরের পক্ষ থেকে আইআইটি-র প্রাক্তনী পাপিয়া চক্রবর্ত্রীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, পাপিকায় জন্ম খড়গপুরে। পরে দীর্ঘদিন থেকেছেন প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশায়। স্বামীর কর্মসূত্রে এখন ফের খড়গপুরেরই বাসিন্দা তিনি। বিজনেস কমিউনিকেশনে স্নাতক হওয়ার পর পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি করেন পাপিয়া। তারপর আইআইটি খড়গপুর থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘদিন বিজেপির সক্রিয় সদস্যা থাকার পর বছর খানেক আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পাপিয়া। সেক্ষেত্রে এখন দেখার পাপিয়াকে ঘিরে ঘাটাল আসনের জট কত তাড়াতাড়ি কাটাতে পারে কংগ্রেস।