Lok Sabha Election 2024: ভোটের জন্য আমলার পদত্যাগ, টিকিট না পেয়ে চাকরি ফেরতের দাবি মহিলা IAS অফিসারের
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
প্রাক্তন ডেপুটি কালেক্টর নিশা বাংরে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য পদত্যাগ করেন। কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে নিজের ডেপুটি কালেক্টর পদ ছেড়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণের জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে লড়েছিলেনও তিনি। তবে এবার তাঁর সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে কংগ্রেস। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস তাঁকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের টকিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে আসল সময়ে তাঁর দল প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিশা বাংরে।তবে প্রস্তাব দিলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপি থেকে কোনও প্রস্তাব পাই নি।’ টিকিট না পেয়ে শেষপর্যন্ত পুরনো সরকারি চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য জানুয়ারি মাসেই তিনি সাধারণ প্রসাসন বিভাগে চিঠি দিয়েছিলেন। তবে এখনও তাঁর আবেদন সরকারের কাছে বিচারাধীনই রয়েছে।
গত বছর নভেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচনের সময় নিশা বাংরে আমলা আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন। সরকার তাঁর পদত্যাগ স্বীকার করার সময় কংগ্রেস ওই আসন থেকে অন্য প্রার্থী ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার চায় আমি সেবার ফিরে আসি। এমপি সার্ভিস রুলে এর বিধান রয়েছে। এমন নজিরও রয়েছে যে সরকারি কর্মীরা পদত্যাগ করেছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং তারপর নির্বাচনে হেরে আবার চাকরিতে ফিরেছেন।’
বাংরে ছত্তরপুর জেলার লাভকুশ নগরের ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য ২০২৩ সালের ২৩ জুন পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল রাজ্য সরকার। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর মধ্যপ্রদেশ সরকার অবশেষে ছত্তরপুরের ডেপুটি কালেক্টর নিশা বাংরের পদত্যাগ গ্রহণ করে। কারণ নিশা তার নিজের জেলা বেতুল থেকে কংগ্রেসের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চাইছিলেন।
প্রথমে নিশার ছন্দের আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণায় দেরী করলেও শেষপর্যন্ত মনোজ মালভেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিশা বাংরে এর আগেও ভোপালে শিবরাজ সিং চৌহানের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পি সি শর্মা। পরে তাঁদের পুলিশ আটকও করেছিল।
কয়েকদিন আগে পর্যন্তও খুব স্পষ্ট ছিল যে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামবেন। তবে এই গোটা বিষয়টাই শেষপর্যন্ত রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।