'হরি-গুরুচাঁদের নাম সংসদে নিতে পারলাম না...', রাজ্যসভায় মমতাবালার শপথে বিতর্ক!
২৪ ঘন্টা | ১১ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মতুয়া সমাজের সবচেয়ে কলঙ্কের দিন যদি থাকে, আজকে আমার কাছে সেইদিনটা'। রাজ্যসভায় মমতাবালা ঠাকুরকে শপথ গ্রহণে এবার বিতর্ক! 'অত্য়ন্ত সস্তার দুর্বল নাটক তৈরি করে, আমার মনে হয় সার্বিক সমাজকে অপমান করে দিলেন', পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
ঘটনাটি ঠিক কী? একসময়ে লোকসভার সাংসদ ছিলেন। মমতাবালাকে এবার রাজ্যসভায় পাঠাল তৃণমূল। আজ, বুধবার ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু শপথে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদের নাম উল্লেখ করার তাঁর দু'বার বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মমতাবালা বলেন, 'দুঃখের বিষয়, সেখানে হরি-গুরুচাঁদের নাম সংসদে নিতে পারলাম না, শপথ গ্রহণ করতে পারলাম না। তাঁর কারণ হচ্ছে যে, অন্য়রা তাঁদের ঠাকুরের নাম করল, সেখানে আমাকে থামিয়ে দিয়ে... আবার শপথগ্রহণের সেই জায়গাটা বলতে হল'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'ভোটের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরাড়িতে গিয়েছিল, বড়মাকে প্রণাম করতে, হরি-গুরুচাঁদের নাম নিতে। সেই জায়গায় আজকে দিল্লির বুকে এসে শপথ নিতে গিয়ে আমার ঠাকুরের....এর থেকে বড় দুঃখজনক আর কিছু নেই। মতুয়া সমাজের সবচেয়ে কলঙ্কের যদি থাকে, আজকে আমার কাছে সেইদিনটা'।কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এরকম তো আমরা তো কোনওদিন শুনিনি। কেউ রামকৃষ্ণ নামে শপথ নেবেন, কেউ আবার বালক ব্রহ্মচারীর নামে শপথ নেবেন, প্রত্যেক প্রত্য়েকে লোকজনের নামে শপথ নেবেন, এমন তো হয় না, শুনিনি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস তো একটা অভূতপূর্ব রাজনৈতিক দল। সেই দলের অনুপ্রেরণায় বেলা শেষে মতুয়াদের বিভ্রান্ত করতে চাইছেন'।শমীকের মতে, 'তিনি হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের নামে শপথ নিতে চাইছেন। শপথ বাতিল হওয়ার জন্য রাজনীতিকে দায়ী করছেন। আমরা মনে হয়, তাঁর এখনও রাজনীতির শিক্ষাটা পুরোপুরি হয়নি। ছেলেমানুষির কাজ হয়ে গিয়েছে। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের নাম বলে, কার্যত তিনি সঙ্ঘাধিপতিদের একজন শ্রদ্ধেয় মানুষকেই অপমান করেছেন। পরিস্থিতি দায়ী তিনি নিজে'।