'এটাই তো বিজেপির নতুন ভারত', রাজভবন থেকে বেরিয়ে কেন একথা বললেন অভিষেক'
২৪ ঘন্টা | ১১ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: ফের রাজভবনে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, 'রাজ্যপাল আমাকে বললেন যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কথা বলতে পারেননি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কেন কথা বললেন না, আমি জানি না। হয়তো বাংলার রাজ্যপাল ফোন করছে বলে, হয়তো বাংলার দাবি তুলবে বলে। আমি জানি না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তো পদমর্যাদায় রাজ্যপাল থেকে অনেক নীচে। এটাই তো বিজেপির নতুন ভারত, সংবিধানকে কোনও মান্য়তা এবার দেয় না'।
ব্যবধান ২ দিনের। সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনা দেওয়ার সময়ে ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেনদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। সেদিন রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এরপর আবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন আজ, বুধবার।রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, 'বাকি যে দু'জন নির্বাচন কমিশনার রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। প্রত্য়েকটা বিষয় নিয়ে অনুরোধ করেছেন যে, দাবিগুলি ন্যায্য। অন্তত তিনি মানেন, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে. নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং তদন্তকারী সংস্থা যেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করে, জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির টাকা রাজ্য সরকার দিতে চায়, অনুমতি দেওয়া হোক সময় নষ্ট না করে...বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, আমাকে ওনারা আশ্বস্ত করেছেন, আমরা দেখব'। অভিষেক জানান, 'দুর্ভাগ্যবশত, আজকে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে নতুন বাড়ির তৈরির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রাজ্যকে অনুমতি দিচ্ছে না। রাজ্যকে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দিতে পার। আংশিক ক্ষতি হলে, ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ, আর একটু বেশি হলে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ'। বলেন, 'বাংলার মানুষকে বাড়ির তৈরির জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে। এরা বাংলা বিরোধী নয় তো, কারা বাংলার বিরোধী! বাংলার মানুষকে কী ভাবছে এরা!টাকা তো আমরা দিচ্ছি! এই যে কেন্দ্রের প্রতিনিধি এসে থাকে, রাজভবনে আলো জ্বলে বাংলার মানুষের টাকায়'।