Indian Railway Catering and Tourism Corporation: শিয়রে ভোট, তবে বাদ নেই বেড়ানোও
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: বরফে ঢাকা হিমালয়ের চূড়াগুলোর কথা মনে করলেই যেন মনটা শান্তিতে ভরে ওঠে। একই সঙ্গে কলকাতার গরমটা যেন অসহ্য হয়ে ওঠে। স্কুল-কলেজে গরমের ছুটি পড়ার সময় এগিয়ে আসছে। পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণও। চৈত্র-শেষের গরমের সঙ্গে নির্বাচনী উত্তাপ মিশে গিয়ে পরিস্থিতি যখন মাত্রাছাড়া, ঠিক সেই সময়েই বেশ কয়েকটি নতুন ভ্রমণ প্যাকেজ চালু করার কথা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)।
‘গরমের ছুটিতে মানুষের বেড়াতে যাওয়ার অভ্যাস নতুন নয়। এবছর ভোট বলে যে ভ্রমণপিপাসুরা তাঁদের অভ্যাস বদলাবেন তা নয়। সেই কারণেই আমরা কলকাতা দপ্তর থেকে বেশ কয়েকটি নতুন প্যাকেজ চালু করেছি’ — এমনটাই জানাচ্ছেন আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আধিকারিকরা। দেশে ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় ভোট হবে। আইআরসিটিসি তাদের যে গরমের ভ্রমণ প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছে, সেই প্যাকেজ চালু হচ্ছে ২৪ এপ্রিল থেকে।সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ২০ জুনের মধ্যে পর্যন্ত মোট চারটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ প্যাকেজ এবং দেশের মধ্যে চারটি ভ্রমণ প্যাকেজ চালু হতে চলেছে। এর মধ্যে একটিমাত্র প্যাকেজ লোকসভা নির্বাচন পার হয়ে যাওয়ার পর শুরু হবে। বাকি সাতটি প্যাকেজই রয়েছে নির্বাচনী কার্যকলাপের মধ্যে।
আইআরসিটিসি জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক প্যাকেজগুলোর মধ্যে রয়েছে দুবাই (২৪ এপ্রিল), ভুটান (২৩ মে) এবং নেপাল ও সিঙ্গাপুর (২৪ মে) বেড়ানোর ব্যবস্থা। অন্য দিকে কাশ্মীর (১৭ এবং ২৪ মে), অরুণাচল (১৮ মে ও ২ জুন) ছাড়াও এই প্রথম আইআরসিটিসি দুই ধাম অর্থাৎ কেদার-বদ্রি বেড়ানোর প্যাকেজ চালু করছে কলকাতা থেকে। দুই ধাম যাত্রা শুরু হবে ২৪ মে। সংস্থা জানাচ্ছে, দেশের মধ্যে সব ক’টি ভ্রমণ প্যাকেজেই প্লেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে এ বছর গরমে সাধারণ মানুষের বেড়ানোর উৎসাহ অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন বেসরকারি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (ট্যাব) সভাপতি প্রশান্ত মাঝি বলছেন, ‘অন্য বছর গরমে বুকিংয়ের যে বিপুল চাপ থাকে, এ বছর সে তুলনায় কিছুই নেই। আসলে ভোটের সময়ে বেড়াতে যাওয়ার নানা রকম সমস্যা আছে। প্রথমত অশান্তির একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। এছাড়া ভোটে বেশির ভাগ কমার্শিয়াল গাড়িই ভাড়ায় চলে যায় বলে গাড়ি পাওয়ার সমস্যা থাকে। এই কারণেই বেশির ভাগ লোকজনই বেড়ানো এড়িয়ে যান।’