এই সময়, মধ্যমগ্রাম: ভ্রমণের জন্য অধিক ছাড়ে বিমানের টিকিট কেটে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে অতি সম্প্রতি মধ্যমগ্রাম থানায় ওই ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন রঘুনাথ দাস নামে এক পর্যটক। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।মধ্যমগ্রাম আব্দালপুরের বাসিন্দা রঘুনাথ দাস একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ওই সংস্থার কয়েকজন কর্মী এবং পরিচিত মিলিয়ে মোট ৭০জন ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রথমে তাঁরা অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ইন্টারনেটে একটি বিজ্ঞাপনে তাঁদের নজরে আসে শিলিগুড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কাটলে প্রতিটি টিকিটে কমবেশি চার হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যাবে।
বিমানের টিকিট অধিক ছাড়ের প্রলোভনে পড়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। পরে আরও ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নগদ দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার দিন এগিয়ে আসলেও তাঁদের টিকিট দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শেষে তাঁদের টিকিটের বেশ কয়েকটি পিএনআর নম্বর দেওয়া হয়।
অভিযোগ, ওই নম্বরগুলি দিয়ে টিকিট বুক করার সময়ে তাঁরা জানতে পারেন সবগুলোই জাল। বাধ্য হয়ে তাঁরা ভ্রমণের দিন পিছিয়ে ফের টিকিট কাটেন। পরে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত চার মাস ধরে ওই সংস্থা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন পর্যটকরা।
এরপরেই দু’দিন আগে মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পর্যটক রঘুনাথ দাস। তিনি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় ঘোরানোর জন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে টাকা দিয়েছিলাম। কিছুই ফেরত পায়নি। কোনও মতে সঞ্চয়ের টাকা, কেউ কেউ ধার করে ঘুরতে গিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’
প্রতারিতদের পক্ষে আইনজীবী বলরাম সরকার জানান, প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রতারণা থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বারবার যাচাই করার পরে আর্থিক লেনদেন করা উচিত।