• ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরিতে অনুমতি দেয়নি কমিশন, শুক্রবার জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক...
    আজকাল | ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার রাজভবনে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।কথা বলেছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। অভিষেক আগেই জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ফের যাবেন রাজভবনে। বুধবার কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু সহ তৃণমূলের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে নিয়ে রাজভবনে যান অভিষেক।রানভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। তিনি বলেন, তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির অর্থ রাজ্য সরকার দিতে চায়, নির্বাচন কমিশন তার অনুমতি যেন দেয় সময় নষ্ট না করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যকে জানানো হয় নতুন বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রাজ্যকে অনুমতি দিচ্ছে না।অভিষেক বলেন, "নতুন কোনও কাজ শুরু করতে গেলে আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। আমরা লিখিত জানিয়েছিলাম। অনুরোধ করেছিলাম।" অভিষেক তাঁর পরেই জানান, রাজ্যপাল জানিয়েছেন চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি রাজ্যপাল। এই ঘটনাকে তিনি "দুর্ভাগ্যজনক" বলে উল্লেখ করে বলেন, "কেন কথা বলেননি তা জানি না, হয়ত বাংলার রাজ্যপাল ফোন করছেন বলে, বাংলার দাবি বলবে বলে।" যাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে, রাজ্যপাল পয়েন্ট ধরে সেসব জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন। অভিষেক এদিন জানান, ১৬০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য রাজ্যকে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তবে বাড়ি তৈরি করতে অনুমতি না দিলেও, মেরামতিতে সাহায্য করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেকথা তুলে ধরেই অভিষেক প্রশ্ন করেন, " এরা বাংলা বিরোধী নয় তো কারা বাংলা বিরোধী?" অসমের সঙ্গে তুলনা টানেন অভিষেক। এদিন অভিষেক জানান, আগামী পরশু, শুক্রবার তিনি জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন। ধূপগুড়িতে সভার পর বৈঠক করবেন ১৬০০ পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। প্রয়োজনে আগামী দিনে প্রতিনিধি দল দেখা করবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, ওই প্রতিনিধি দলের ১০ সদস্যকে শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন অভিষেক। তাঁদের অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তাঁরা তুলে ধরবেন বলে এদিন জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায় উঠে আসে মমতাবালা ঠাকুরের প্রসঙ্গ। তাঁর শপথগ্রহণ মাঝপথে থামিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে এনে অভিষেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অমিত শাহকেও এদিন একহাত নেন অভিষেক। বালুরঘাট বানান বিভ্রাট নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। একাধিক ইস্যু তুলে ধরে এসব কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তুলে ধরেন বাংলার বঞ্চনার কথা।
  • Link to this news (আজকাল)