রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সাত দফায় শেষ হল বামদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা। দু?একটি আসন বাদে রাজ্যের সিংভাগ আসনেই জোটের তরফে একজন করে প্রার্থী দাঁড় করানো সম্ভব হয়েছে। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আসন সমঝোতা অনুযায়ী সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
ঘাটালে সিপিআইয়ের (CPI) প্রার্থী থাকায় আর সম্ভবত সেখানে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে না কংগ্রেস। সেখানে সিপিআইয়ের প্রার্থী হিসাবে তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। পরে সেই ঘাটালেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। তারা প্রার্থী করে পাপিয়া চক্রবর্তীকে। কিন্তু দলে বিক্ষোভের জেরে সেই প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়। ওই কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত লড়বে সিপিআই-ই।
শুধুমাত্র কাঁথিতে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা বাকি রয়েছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট, দু’পক্ষই ধাপে ধাপে প্রার্থী দেওয়ার পর একমাত্র কাঁথি আসনটি ফাঁকা পড়ে ছিল। সেখানে কংগ্রেস লড়বে বলেই খবর। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের তরফে যদি তীব্রভাবে জেলায় দলের প্রার্থী দেওয়ার জন্য দাবি তোলা হয় তাহলে মথুরাপুর আসনে সিপিএম তাদের ঘোষিত প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারে।
এদিকে, পুরুলিয়ায় অনড় থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক সেখানে একাই লড়ছে। সেখানে বামফ্রন্ট কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammad Selim) এদিন প্রকাশ্যেই বলেন, ‘‘বামফ্রন্টের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লককে বেশি কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু যে যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তাঁরাই বামফ্রন্টের প্রার্থী।’’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। তাতে যে সিপিএম যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিল তা এদিন স্পষ্ট সেলিমের এই প্রকাশ্য মন্তব্যেই।