এই সময়, কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবারে চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুর মামলায় আলিপুর জেলা জজের আদালতে আগাম জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন এফআইআর তালিকায় নাম থাকা অন্যতম অভিযুক্ত পুলিশের মহিলা সাব ইন্সপেক্টর অমৃতা পাখিরা দাস। জামিনের আবেদনের প্রায় এক মাসের মাথায় বুধবার আলিপুর জেলা জজের আদালতে শুনানির কথা থাকলেও, অভিযুক্ত অমৃতার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁরা এই মামলায় শুনানি করতে চান না।ফলে সেটি যেন খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালত টেকনিক্যাল কারণেই তা প্রত্যাহার করানোর বদলে খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের জনপ্রিয় চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে রিয়া দাস-সহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের পরিবারের করা এফআইআরে নাম ছিল অমৃতারও।
তার পরই ১১ মার্চ ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার প্রাক্তন ওসি অমৃতা আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন আলিপুর আদালতে। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ইতিমধ্যে রিয়া, তার স্বামী অভিজিৎ দাস ও তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল বাঁকিবিল্লা বোরহানিকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে অমৃতা ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার ডিআইবিতে পোস্টেড।
কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি অন্তরালে থাকলেও সিআইডির খাতায় এখনও পলাতক। এফআইআরে নাম থাকা রিয়ার বাবা তাপস খাঁয়ের জামিনের আবেদন আলিপুর আদালত খারিজ করেছে আগেই। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি আগাম জামিন না পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই অমৃতা আদালত থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন?
১৪ মার্চ ডায়মন্ড হারবার থানার হাত থেকে সিআইডি তদন্তভার নেওয়ার এতদিন পরেও কেন বাকি তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। মৃতের পরিবারের দাবি, চিকিৎসককে সম্পর্কের জালে ফাঁসিয়ে গোপনে ছবি তুলে রেখে দিনের পর দিন মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি মোটা টাকা ব্ল্যাকমেল করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।