Saira Shah Halim: CPIM-এর 'প্রচারপত্র'-এ শ্রীকৃষ্ণ, ভোটের মুখে প্রার্থীর প্রচার কার্ড নিয়ে ব্যাখ্যা 'নাস্তিক' বাম নেতৃত্বর
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
CPIM প্রার্থীর ছাপানো কার্ডে শ্রীকৃষ্ণ? ভোটের আগে বামেদের বিরুদ্ধে আস্তিকতার আশ্রয়ের অভিযোগ বিরোধীদের। প্রচার কার্ড নিয়ে যখন বিরোধীরা কটাক্ষ করছেন সেই সময় অবশ্য এই নিয়ে 'অহেতুক বিতর্ক' দেখছে বামেরা।নববর্ষের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রচার করছে BJP-ও। এই প্রসঙ্গে BJP-র শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলছেন, 'নিন্দুকরা অনেক কথাই বলতে পারেন। কিন্তু, আমাদের হিন্দু ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।' BJP-র এই পদক্ষেপের মাঝেই চর্চায় বামেরা।
এই বছর কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে সায়রা শাহ হালিমকে প্রার্থী করেছে CPIM। তিনি বাংলা নববর্ষ এবং ইদকে সামনে রেখে একটি কার্ড তৈরি করেছেন। যেখানে দুই খুদেকে একফ্রেমে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে। একজন্য সেজেছে কৃষ্ণ। সে ধরে রেখেছে ফেজ টুপি পরা আর এক খুদের হাত। কার্ডটিতে রয়েছে সম্প্রীতির বার্তা। এই শুভেচ্ছা সংক্রান্ত কার্ড নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তবে কি ভোটবঙ্গে আস্তিকতার আশ্রয় নিচ্ছে বামেরাও? এই প্রশ্ন সামনে রেখে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা।
এই প্রসঙ্গে CPIM-এর কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কমিটির কনভেনর ও দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, 'প্রত্যেকবার ভোটের সময় আমরা ইদের কার্ড দিই, নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দিই। এটা আজকের বিষয় নয়। যতদিন আমরা সংসদীয় রাজনীতিতে রয়েছি তবে থেকে চলে আসছে। ২০১৪, ২০১৯ বা তার আগেও লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আমরা শুভেচ্ছাবার্তা দিই। এতে নতুন কিছু নেই। ইদের কার্ডে কোনও জায়গায় পার্টির নাম উল্লেখ করা থাকে না।’
Saira Shah Halim Interview : চাইনিজ থেকে মাছ ভাত, লেখা টু রাজনীতি, আনকাট সায়রা
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নববর্ষের শুভেচ্ছার মধ্যে অবশ্য প্রার্থীর নাম উল্লেখ থাকে। যথেষ্ট সংখ্যক ছাপিয়ে আমরা তা বিলি করি। এবারেও তা হচ্ছে।’ এদিকে বাম নেতা ফুয়াদ হালিম বলেন, 'ইদ একটি পরব, যেখানে ভারতবর্ষের সমস্ত স্তরের মানুষরা অংশগ্রহণ করে। ধর্ম যে যার নিজস্ব হতে পারে, কিন্তু পরবগুলোতে সকলে অংশ নিতে পারে। সকলের অংশগ্রহণ করার মধ্য থেকে আমরা শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছি। এই ধরনের শুভেচ্ছাবার্তা প্রতিটা পরবেই দেওয়া হয়। ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত, কিন্তু পরব আমরা সমষ্টিগতভাবে পালন করি।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘ইদে অংশগ্রহণ এবং ইদি চাওয়া একটা সার্বিক বিষয়।’ সূত্রের খবর, এই কার্ডগুলি এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। পাশারাশি প্রার্থী তাঁর বন্ধু-আত্মীয়-পরিচিতদের দিচ্ছেন। নববর্ষ এবং ইদের কার্ডের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইদের জন্য যে কার্ড তৈরি করা হয়েছে তা ইংরেজি এবং বাংলা ভাষাতে লেখা হয়েছে। মাপ একেবারে ছোট। নববর্ষের জন্যও আলাদা করে কার্ড তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নিয়ে সায়রা শাহ হাকিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।