Work From Home করে প্রচুর টাকা কামাতে চান? সতর্ক করছে কলকাতা পুলিশ
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
একটা সময় অফিসে গিয়ে কাজ করাই নিয়ম ছিল। বহু দূরদুরান্ত থেকেও প্রতিদিন অফিসে যাতায়াত করতেন মানুষ। কেউ কেউ আবার যাত্রার ধকল লাঘব করতে অফিসের কাছাকাছি কোনও বাড়ি বা মেস ভাড়াও করতেন। তবে কাজে যোগ দিতে হত অফিসে গিয়েই। এছাড়া কাজে যোগ দেওয়ার অন্য কোনও উপায় ছিল না। এমনকী যাঁরা সেলস বা মার্কেটিং সেকশনে কাজ করতেন, তাঁদেরও অধিকাংশ সময়ই অফিসে ঢুকে হাজিরা দিয়ে, তারপর বেরোতে হত কাজে।এরই মাঝে এল করোনা কাল। এক লহমায় বদলে মানুষের জীবন ও নিত্যদিনের অভ্যাস। পালটে গেল কর্ম সংস্কৃতিও। অফিসের বদলে কাজ শুরু হল বাড়ি থেকে, যার পোশাকি নাম Work From Home। কর্মীদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে, একইসঙ্গে অফিসের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রায় সমস্ত সংস্থাই সেই সময় এই পথে হাঁটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রায় সমস্ত সেক্টরেই চালু হয়ে যায় এই কর্ম সংস্কৃতি। পরবর্তীতে করোনার প্রভাব কমার পর, কোনও কোনও সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করে দেয়। আবার কোনও কোনও সংস্থায় এই প্রথা আংশিকভাবে চালুও রাখা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের সতর্কবার্তা
তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্ম সংস্কৃতি যত এগিয়েছে, ততই প্রতারণা জাল বিছিয়েছে প্রতারকরাও। আর সেই বিষয়েই এবার সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিল কলকাতা পুলিশ। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া, অন্য কোনও মাধ্যম বা মোবাইলে এসএমএস-এ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মাধ্যমে অর্থ রোজগারের অফার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি আসে অচেনা বা অজানা কোনও সূত্র থেকেই। সেক্ষেত্রে কোনও কোনওটিতে আবার কিছু টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশবন করার কথাও বলা হয়। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রেই সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
এক্ষেত্রে অচেনা কোনও মানুষের থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অফার গ্রহণ না করারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। কারণ এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে বলেই মনে করে কলকাতা পুলিশ। যেহেতু ওয়ার্ক ফ্রম হোম সংক্রান্ত অনেক মেসেজ বা পোস্টে রেজিস্ট্রেশন করা ও তার জন্য অর্থ প্রদান করার কথা বলা হয়, তাই কলকাতা পুলিশ মনে করছে, মানুষ এই ধরনের ফাঁদে পা দিলে প্রতারিত হতে পারেন। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে বিভিন্ন ধরনের সাইবার প্রতারণার খবর উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে।