• Artemis Mission 2024: ইতিহাসের অপেক্ষায় চাঁদ, আমেরিকার মৌরসীপাট্টা ভাঙার পথে জাপানি মহাকাশচারী
    এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারশ্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।দুই দেশের এই সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরষ্ট্র তার প্রধান এশিয় মিথ্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছেন। জো বাইডেন এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ভবিষ্যতের আমেরিকান মিশনে যোগ দেবেন দু’জন জাপানি মহাকাশচারী। আর এই জাপানি মহাকাশচারীরাই হবেন প্রথম অ-আমেররিকান যাঁরা চাঁদে অবতরণ করবেন।’ তিনি এই মিশনের অংশীদারিত্বের তাৎপর্যে জোর দিয়েছেন। জবাবে জো বাইডেনের এই ঘোষণাকে ‘বিশাল অর্জন’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি আর্টেমিস ৩ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য জাপানের তরফে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    নাসার এই আর্টেমিস প্রোগ্রাম শুধুমাত্র চাঁদে নেমে ঘুরে দেখা নয়, বরং মঙ্গলে সম্ভাব্য মানব মিশনের অগ্রদূত হিসেবে সেখানে স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করা। প্রোগ্রামটি ইতিমধ্যেই প্রথম মহিলা মহাকাশচারীকে চন্দ্র অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগেই শিরোনমে এসেছে। নাসা প্রধান বিল নেলসন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমেরিকা আর চাঁদে একা হাঁটবে না।’

    যখন চন্দ্র অনুসন্ধান নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে এমন সময় আর্টেমিস ৩ প্রোগ্রামের কথা ঘোষণা করা হয়।

    জাপানের স্পেস এজেন্সি JAXA, আর্টেমিস প্রোগ্রামের জন্য রোভারের উন্নয়নে তার ভূমিকা পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। রোভারের মাধ্যমে মহাকাশচারীরা আরও বেশি দূরত্বে যেতে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও বেশি সময়ের জন্য কাজ করর সুযোগ পবেন। এই রোভারটি পরবর্তীকালে আর্টেমিস ৭ মিশনে এবং আগামী দশ বছরের মধ্যে পরবর্তী মিশনেও ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র এং জাপানের এই প্রোগ্রাম অংশীদারিত্ব আর্টেমিস প্রোগ্রামের বাইরেও অনেকখান প্রসারিত। কারণ টোকিও এবং ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অপারেশন সহ মহকাশ অনুসন্ধানে সহযোগিতার একটি দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস আছে। এই বছরের শুরুতে জাপান সফলভাবে চঁদে তার স্লিম মহাকাশযান অবতরণ করে একট উল্লেখযোগ্য মইলফলক অর্জন করে এই তালিকার পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে।

    ইউরোপীয় মহকাশচারদের অশগ্রহণের সুনর্দিষ্ট বষয়গুলি যেমন, তারা চাঁদে অবতরণ করবে কিনা নাকি শুধুই এটিকে প্রদক্ষিণ করবে তা এখনও আলোচনর অধীনই রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)