Kashmir Issue: ইদের বার্তায় পুরনো কাসুন্দি! খুশির দিনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াল পাকিস্তান
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
বুধবার অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানেও পালিত হল ইদ। এই উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের মানুষ একে অরকে শুভেচ্ছা জানান। তব পাক শাসকরা এই শুভ দিনেও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রতি বিষ ছড়াতে পিছপা হলেন না।ইদের দিনেও কাশ্মীর নিয়ে প্রচার করতে কোনও রকম কসুর করলেন না পাক প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ইদে জনসধারণের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা দেন। জনসাধারণকে দেওয়া সেই বার্তায় ভারতের কাশ্মীর নিয়ে বিষ ছড়িয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেছেন, এই উপলক্ষ্যে আমদের কাশ্মীরি জনগণকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টও গাজা ও ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকশ করেন।
গোটা পাকিস্তান এবং দেশবাসীকে ইদের শুভেচ্ছ জানিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি সর্বশক্তিমান আল্লার কাছে প্রাথনা করি যেন এই শুভ দিনে সবার জন্য অফুরন্ত আশীর্বাদ, সুখ, শান্তি এবং নিরাপত্তা বয়ে আনে’। এরপর অবশ্য ইদ উপলক্ষ্যে কাশ্মীর নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে ভোলেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের পুরনো প্রোপাগন্ডা পুনরায় উত্থাপন করে জারদারি বলেছেন, ‘এই খুশি উপলক্ষ্যে আমাদের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সমস্ত পাকিস্তান তার কাশ্মীরি ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
কশ্মীরের জন্য দরদ পাক প্রধানমন্ত্রীর-পাকিসতানের রাষ্ট্রপতির মতো প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাঁর ইদ বার্তায় কাশ্মীরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শাহবাজ তাঁর ইদের বার্তায় সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনি ও কাশ্মীরি ভাই-বোনদের মনে রাখবেন যারা দখলদার বাহিনর সবচেয়ে খারাপ নৃশংসতার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ইদ উদযাপন করতে পারছেন নায আমরা সবাই আল্লার কাছে তাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রার্থনা করি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তান যখন বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে তখনই ইদের বাণী দিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবজ শরিফ। তিনি জনগণকে স্মারণ করিয়ে দেন যে আমরা যখন ইদ উদযাপন করছি, তখন আমাদের পকিস্তানের জনগণকে ভুলে যাওয়া উচিত নয় যারা দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছে। দেশের শান্তির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সৈনিকদের স্মরণ করার কথাও বলেছেন শাহবজ শরিফ।। এবছর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় অনেক পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। যে সন্ত্রাসীরা এক সময় পাকস্তানকে লালন পালন করেছিল তারাই আজ সেদেশে আঘাত করছে।