বাম-কংগ্রেস 'জোটে' এক টিমে দুই জা, তৃণমূলের হয়ে প্রচারে মেজো মামা-মামি, ভোটে কী টিপস ভাগ্নির?
এই সময় | ১১ এপ্রিল ২০২৪
এই লোকসভা নির্বাচনে সরাসরি ভোট ময়দানে নেই মিমি চক্রবর্তী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলেছেন মিমির মেজো মামা ও মামি রাম এবং পুনম চক্রবর্তী। তাঁর অপর দুই মামি পর্ণা নাগ এবং কান্তা চক্রবর্তীও খুব একটা পিছিয়ে নেই।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিমি চক্রবর্তীর তিন মামি তিনটি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএম। কিন্তু, এই লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়েছে। ফলে কংগ্রেসের সদস্য কান্তা চক্রবর্তী এবং বামেদের পর্ণা নাগ, মিমির দুই মামি এক হয়ে লড়াই করছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের হয়ে প্রচার ময়দানে নেমেছেন মিমির আরেক মামি।
জলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি রোডের পাশে পন্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকার কালীবাড়ির উলটো দিকের রাস্তাতেই বাড়ি মিমির। উল্লেখযোগ্যভাবে মিমির বাড়ির রাস্তায় সেভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানো নেই। তবে ভিতরে অবশ্য ফেস্টুন এবং পোস্টার রয়েছে।
মিমির মেজ মামি পুনম চক্রবর্তী তৃণমূল নেত্রী তথা খড়িয়াগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য পান্ডাপাড়ার দুটি বুথ থেকেই তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দেওয়া। আর সেই জন্য প্রচার, জনসংযোগ করছি।' বিদায়ী সাংসদ তথা ভাগ্নি মিমি চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে তাঁকে টিপস দিয়েছেন বলেও জানান। পুনম বলেন, 'মিমি ফোনে জানিয়েছে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী করার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীকে প্রাধান্য দিতে হবে।' মিমির থেকে এই টিপস পেয়ে যথেষ্ট খুশি তিনি।
মিমি চক্রবর্তী সাংসদ থাকবেন কি না, তাতে এত চিন্তা কীসের?
এই লোকসভা নির্বাচনে মিমির প্রার্থী না হওয়া প্রসঙ্গে পুনম বলেন, 'এটা পুরোপুরি ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে ও যদি দ্বিতীয়বার সাংসদ হত সেক্ষেত্রে খুব খুশি হতাম।'
মিমির মামা রাম চক্রবর্তী বলেন, 'ও (ভাগ্নি) আগেই দলনেত্রীকে জানিয়েছিলেন নির্বাচনে লড়াই করতে রাজি নয়। ও অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত। তবে ও সারাজীবন তৃণমূলের পাশে থাকবে।'
অন্যদিকে, মিমির ছোট মামি পর্ণা অবশ্য জানান, ভাগ্নির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক আলোচনা সেভাবে হয় না। কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা হলে কথা হয়। বাম এবং কংগ্রেস একসঙ্গে প্রচার চালাচ্ছে।' এদিকে মিমির বড় মামি কান্তা অসুস্থ। কিন্তু, নিজেকে প্রচার থেকে পুরোপুরি সরিয়ে রাখতে পারেননি। তাঁর স্বামী সত্যময় চক্রবর্তী খড়িয়া অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।