জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) সময়টা যেন কিছুতেই ভালো যাচ্ছে না। এবার ক্রুনাল পান্ডিয়ার (Krunal Pandya) সঙ্গে তিনিও কোটি কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হলেন। আর প্রতারক নাকি খোদ তাঁদেরই সৎভাই বৈভব পান্ডিয়া (Vaibhav Pandya)! হার্দিকের করা গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিস গ্রেফতার করেছে বৈভবকে। দুই ভাই- হার্দিক-ক্রুনালের মোট ৪.৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বৈভবের বিরুদ্ধে।এবার আসা যাক ঘটনার প্রসঙ্গে। হার্দিক-ক্রুনাল-বৈভব মিলে ২০২১ সালে একটি ব্য়বসা শুরু করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী হার্দিক-ক্রুনালের লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ শেয়ার পাওয়ার কথা। অন্যদিকে ২০ শতাংশ বৈভবের। অদ্ভুত ব্য়াপার হচ্ছে বৈভর লভ্য়াংশের ভাগ পাণ্ডিয়া ভাইদের তো দেনইনি, উল্টে সেই টাকায় আলাদা কোম্পানি খুলে ফেলেন! মুম্বই পুলিসের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং ওরফে ইওডব্লিউ শাখা জানিয়েছে যে, বৈভবের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০১১ সালের মেগা নিলামে দলে নিয়েছিল রোহিত শর্মাকে। রিকি পন্টিং থেকে দলের নেতৃত্বভার তাঁর কাঁধে সঁপে দেওয়া হয়। রোহিতের নেতৃত্বে মুম্বই পাঁচবার আইপিএল চ্য়াম্পিয়ন হয়। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে রোহিত নীল সেনার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন। আর এহেন রোহিতকে সপ্তদশ আইপিএলের আগে মুম্বই ম্য়ানেজমেন্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। তার বদলে গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে হার্দিককে। অধিনায়কত্ব বদলের সিদ্ধান্তের পর থেকেই খবরে হার্দিক। তিনি অধিনায়ক হওয়ায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে মুম্বইয়ের হাজার হাজার সমর্থকের মনে। কেউ মেনে নিতে পারছেন না যে, কী করে রোহিতের বদলি হতে পারেন হার্দিক। কারণ মুম্বইয়ের ফ্য়ানদের চোখে রোহিত তাঁদের রাজা।মুম্বইয়ের ক্য়াপ্টেন হওয়ার পরেই শুধু বিদ্রুপ ও টিটকিরি হজম করেছেন হার্দিক! কারণ দলের অতীতের গরিমা ও বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই মিলছিল না! শুরুতে পরপর তিন ম্য়াচ হেরে ধুঁকছিল পাঁচবারের চ্য়াম্পিয়ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল নীতা আম্বানির দলের। গত রবিবার দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুম্বই। অবশেষে বসে যাওয়া রথের চাকা ঘুরেছে হার্দিকদের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। মুম্বই ২৯ রানে দিল্লিকে হারিয়ে মরসুমের প্রথম জয়ের মুখ।