জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এতদিন হয়ে গেল, কিন্তু এখনও সেই বিরল অনুভূতির কথা ভুলতে পারেননি 'প্রধানমন্ত্রী' নরেন্দ্র মোদী। আজও তিনি স্মৃতিচারণ করেন তাঁর সেই অভিজ্ঞতার। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মোদী তাঁর সেই গভীর গোপন অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেছেন।
এমনিতেই ভারতীয়দের মনে ও মননে, প্রাণে ও হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে গিয়েছে এই শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন ও সেই সংক্রান্ত সমস্ত অনুষ্ঠান। কিন্তু তাঁর নিজের অনুভূতির কথা যেন ব্যক্ত করার ভাষা নেই! অযোধ্যার রামমন্দির ও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রায় এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক মার্কিন ম্যাগাজিন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের নীতি-উন্নয়ন থেকে শুরু করে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক-- নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই রামমন্দিরের প্রসঙ্গও ওঠে। সেই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে মোদী বলেন, শ্রীরামের জীবন ভারতীয় সভ্যতায় মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে!রামমন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ''ওঁর (শ্রীরামের) জীবন আমাদের চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের রূপরেখা নির্ণয় করেছে। আমাদের গোটা দেশ জুড়ে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে। আমি ১১ দিনের বিশেষ ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেছিলা। শ্রীরামের পদচিহ্ন যেখানে যেখানে রয়েছে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এই যাত্রা আমায় দেশের বিভিন্ন কোণায় নিয়ে গিয়েছে, যেখানে আমি দেখেছি, রাম আমাদের সকলের মধ্যে বসবাস করেন।''মোদী আরও বলেন, ''শ্রীরামের তাঁর স্ব-ভূমিতে ফিরে আসাটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সৃষ্টি করেছে দেশে। দেশের একতার সুরটি এর মধ্যে দিয়ে যেন প্রতিফলিত হয়েছে। দীর্ঘ শতাব্দীর অপেক্ষা ও আত্মত্যাগের ফল রামমন্দির। আমায় যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল, তখনই আমি জানতাম, সেখানে সেদিন দেশের যে-১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব আমি করব, তাঁরা এতদিন অসীম ধৈর্যসহকারে রামলালার ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা করেছেন! সেদিন গোটা দেশে যেন দীপাবলি! শ্রীরামের জ্যোতিতে আলোকিত প্রতিটি ঘর!''