জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুড় বাতাসার বদলে এবার দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাওয়াই ছোলা গুড়। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা নিজের শক্তি বাড়ানোর জন্য খাই। লোককে দেখানোর জন্য নয়। সকালে এক্সারসাইজ তারপর গুড় ছোলা খেয়ে এবার লেগে পড়বো। সারাদিন রৌদ্রে ঘুরবো’।ছোলা গুড়, গুড় বাতাসার পাল্টা কী না জিজ্ঞেস করায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পাল্টা তো পাবলিক দিয়েছে। তারা এখন কোথায় দেখে নিন। আমরা জনগণের শক্তি বাড়াতে চাই। জনগণের সংগঠন, জনগণের মনবল বাড়িয়ে এগোতে চাই। তাদের মনবল না বাড়লে সমাজ এগোবে না। তাদের ভয় দেখিয়ে রেখে যা চলছে আমরা তার পরিবর্তন চাই’।
এখানে উল্লেখ্য বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কয়েক বছর আগে বিরুধীদের উদ্দেশ্যে ‘চড়াম চড়াম ঢাক ও গুড় বাতাসা দাওয়াই’ দিয়ে রাজ্য রাজনীতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দী।অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ বললেন, ‘উনি কারোর পা ভেঙে দেবেন। কারোর অন্য কিছু ভেঙে দেবেন। আমার কাছে পাগলদের জন্য কোনও সময় নেই। পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!’ এদিন টাউন হলে ঈদের নামাজে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন তিনি। এরপর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।এদিন তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির লোকেরা অভদ্র। আমাদের পরিবারে সংস্কার শেখানো হয়েছে। আমরা ওদের মত অভদ্র নই।’তৃণমূল নেতা কর্মীদের এবার রাজ্য ছাড়ার নিদান দিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার তার রোজকার প্রাতঃভ্রমণ কর্মসূচিতে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি যান পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রামে। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করেন। সেই সময়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক তাদের উপর শাসকদলের অত্যাচারের কথা বলেন।ভোট পরবর্তী হিংসার কথা শুনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওদের বলে রাখুন তোমরা আমাদেরকে গ্রামছাড়া করেছিলে, এবার রাজ্য ছাড়া করে দেবো।’দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বলে রাখুন, ভোটের পর যাতে ঘর ছাড়তে না হয়, চুপ করে থাক। আমি বলেছিলাম, তোমরা আমাদেরকে গ্রামছাড়া করেছিলে, এবার রাজ্য ছাড়া করে দেবো’।বিজেপি কর্মীরা তাঁকে বলেন, ‘তখন আপনাকে পেলে এই এলাকায় কী করতাম দেখতেন। সেরকম নেতৃত্ব পাইনি আমরা’।এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখন তো করে দেখান’।