বিধান সরকার: লোকাল ট্রেনে প্রচারে বেরিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় হকারদের কাছ থেকে বাদাম-মৌরি লজেন্স কিনে খান। এমনকী বলেন ছোটোবেলার কথা মনে পরছে। ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় ট্রেন কম। সময়ে ট্রেন চলে না এমন অভিযোগ আছে। লকেট বলেন, ট্রেন পরিষেবা আরও আধুনিক হচ্ছে। ব্যন্ডেল স্টেশনকে ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু হয়েছে।
প্রত্যেক স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। হাওড়ায় চালু হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটছে মেট্রো। হুগলিতেও কি মেট্রো চলবে? এ প্রশ্নে লকেট বলেন, হাওড়া পর্যন্ত মেট্রো চালু হয়েছে। আগামী দিনে হুগলিতেও চলবে। হাওড়ায় ঢুকে গেছে সেখান থেকে হুগলি এমন কিছু দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রী সংকল্প নিয়েছেন উনি বলেছেন সংকল্প থেকে সিদ্ধি। তাই সংকল্প করতে হবে হাওড়া পর্যন্ত আসতে পারলে কেন হুগলি নয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা, এয়ারপোর্ট -হুগলির সঙ্গে যোগাযোগ হবে সরাসরি। আমি চাইব হুগলির মানুষ যেন সেই সুবিধা পায়।এদিন রচনার কলকারখানা হয়েছে, চারিদিকে ধোঁয়া, এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে লকেট বলেন, মানুষ জানে কোনও কিছু হয়নি। সিঙ্গুরের কৃষক কাঁদছে, বুলডোজার দিয়ে টাটাকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডানলপকে শেষ করে দিয়েছে। ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। সেখানের সব যন্ত্র চুরি করেছে। তবে কিসের ধোঁয়া বলতে পারব না। সিগারেটের নাকি চিমনির ধোঁয়া। আমি জানি না উনি দেখতে পেয়েছেন। আমি তো কোনও উন্ননয় দেখতে পাচ্ছি না। কোনও বড় শিল্প কি এসেছে। কোনও শিল্প কি হয়েছে? টাটা মোদীজিকে আস্বস্ত করেছেন আপানাদের সরকার আসবে সেদিন আমরা শিল্প করব।প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ প্রথম দিন সিঙ্গুরে প্রচারে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলেন চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন অনেক কলকারাখা হয়েছে তাই এত ধোঁয়া। পরে তার এই বক্তব্য নিয়ে মিম তৈরি হয়। সম্ভবত, তার জবাব দিতেই আজ পান্ডুয়া যাওয়ার সময় রাইস মিলের ধোঁয়া দেখে রিলস বানিয়ে ফেলেন।