এই চাইছেন অপসারণ, মুখোমুখি হতেই বাসুকে 'নমস্তে' বোসের!
২৪ ঘন্টা | ১১ এপ্রিল ২০২৪
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণের কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর সেই সংঘাতের আবহের মধ্যেই বুধবার 'কথা হল' রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর। গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে রাজভবনে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সূত্রের খবর, বৈঠক শেষে যখন সকলে বেরিয়ে আসছেন, তখন ব্রাত্য বসুকে দেখে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, 'নমস্তে মিস্টার বাসু।' প্রত্যুত্তরে ব্রাত্য বসুও নমস্কার জানান রাজ্যপালকে।উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বহু দিন ধরেই রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাত চলছে। সম্প্রতি মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করেছেন রাজ্যপাল। গত বছরের অগাস্টে রজতকিশোর দে-কে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল আচার্য সিভি আনন্দ বোস নিজেই। কিন্তু হঠাৎ-ই রবিবার রাজ্যপালের তরফে রজতকিশোরকে অপসারণের চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণেরও সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল। যার পরই নতুন করে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে শিক্ষামন্ত্রীর!ওদিকে রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের কড়া উত্তর দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার তোপ দেগেছে, রাজ্যপাল তার রিপোর্ট কার্ডে রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করেছেন। আইনের বাইরে গিয়ে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে চাইছেন রাজ্যপাল। তিনি নিজে যা ভালো মনে করছেন, সেটাই করছেন। তিনি আদালতের নির্দেশও উপেক্ষা করছেন। এমনকি গোটা বিষয়টা মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধান করার ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতা রয়েছে। রাজ্যপাল যে ভূমিকা নিচ্ছেন, তা শুধুমাত্র যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে তা নয়, পড়ুয়াদেরও সমস্যার মুখে ফেলছে। বাংলার ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও রাজ্যপালই এমন আচার্যের ভূমিকা নেননি যা এই রাজ্যপাল নিচ্ছেন। উত্তরে লিখেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতীয় স্তরের সমীক্ষায় ওপরের দিকে র্যাঙ্ক করেছে। এক্ষেত্রে সেখানে যদি কোনও অবনমন ঘটে, তবে তার জন্য দায়ি থাকবেন রাজ্যপাল। এখানেই শেষ নয়। রাজ্যের এই উত্তরের পরই আবার পালটা রাজ্যের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দুর্নীতি, হিংসা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ও ভোটের কারণে অপব্যবহারের ইস্যুতে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের। সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে বলে জানা যায় রাজভবন সূত্রে। একজনেরই কমিশন গঠন করে এই তদন্ত করা হবে।